দেশ

সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার ঘটনার সঙ্গে ক্যাপিটল হিলে হামলার তুলনা করল কেন্দ্র

সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার ঘটনাকে এবার আমেরিকার ক্যাপিটল হিল হিংসার সঙ্গে এক বন্ধনীতে এনে ফেলল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে ভারতের অভ্যন্তরীণ কোনও বিষয়ে মন্তব্য যে দিল্লি ভালভাবে দেখছে না, সেই বার্তাও দিয়ে রাখল। কৃষক আন্দোলন ঘিরে এই মুহূর্তে দিল্লির উপরই নজর আন্তর্জাতিক মহলের। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার পর আমেরিকার নাগরিকদের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল, ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় ঘটনায় এ দেশের মানুষের মধ্যেও তেমনই প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।’ স্থানীয় আইন মেনে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়। বিতর্কিত ৩ টি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীর উপকণ্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। তা নিয়ে দেশের অন্দরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তেতে থাকলেও, আমেরিকার পপ তারকা রিহানা, পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, প্রাক্তন পর্ন তারকা মিয়া খলিফার মতো তারকারা বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলায় এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলেও এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আন্দোলন ঠেকাতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু কেন্দ্রের যুক্তি, ‘আর যাতে হিংসা ছড়াতে না পারে, তার জন্যই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।’ সাধারণতন্ত্র দিবসের সকালে রাজধানীতে ট্র্যাক্টর মিছিলের পিছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আগেই দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ। তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্রও। কৃষকদের উস্কানি জোগানোয় ‘শিখস ফর জাস্টিস’–এর মতো সংগঠনের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে আমেরিকার জো বাইডেন সরকারকে তদন্ত কমিশন গড়তে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। আমেরিকা যদিও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দু’পক্ষকে মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিদেশ দপ্তরকে উদ্ধৃত করে আমেরিকা সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন যে কোনও গণতন্ত্রের অভিজ্ঞান। যতদূর জানি, ভারতের সুপ্রিম কোর্টেরও তাই মত। আমরা চাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসুক।’ ইন্টারনেট বন্ধ রাখা নিয়ে বলা হয়, ‘ইন্টারনেট হোক বা যে কোনও মাধ্যমে তথ্যের নাগাল পাওয়া মানুষের মৌলিক এবং বাক স্বাধীনতার অধিকারের মধ্যে পড়ে।’ পাশাপাশি নয়া ৩ কৃষি আইন নিয়ে দিল্লিকেই সমর্থন করেছে ওয়াশিংটন। বাজারের কার্যকারিতা বাড়ানো এবং বেসরকারি বিনিয়োগ টানার উপযোগী পদক্ষেপ তাদের কাছে বরাবরই স্বাগত বলেও মন্তব্য করেছে আমেরিকা। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ভারতের বদনাম করতে চাইছেন। কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে না।