কলকাতা

লকডাউনে বাংলার রেড জোন তিন ভাগ করে ছাড়ের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতাঃ আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনই করোনা যাবে বলে মনে হয় না।তাই লকডাউন চলবে কড়াভাবে, কিন্তু লকডাউনের মধ্য়ে কাজও চলবে। আগামী ৩ মাসের জন্য় স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার’। আগামী দিনে করোনা পরিস্থিতিতে রেড জোনভুক্ত এলাকার মধ্য়ে কীভাবে ছাড় দেওয়া হবে, তা নিয়ে নয়া পরিকল্পনার কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পাশাপাশি এদিন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন এটা অনেকদিন চলবে। তিনমাসের পরিকল্পনা করতে হবে। রেড জোনের মধ্য়েও তিনটি ভাগ করা হবে। রেড জোন এ, রেড জোন বি ও রেড জোন সি”। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, ‘রেড জোন এ এলাকাগুলিতে কোনও ছাড় নয়। রেড জোন বি এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। এখানে যেসব ক্ষেত্রে ছাড় দিলে কোনও সমস্য়া হবে না, সেগুলিতে ছাড় দেওয়া হবে। রেড জোন সি এলাকা হল কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে ব্যারিকেড দেওয়া অংশ, সেখানে কিছু কিছু খোলা হবে। পুলিশ এটা দেখবে। ৩ দিনের মধ্য়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এ ব্যাপারে’। লকডাউনে ছাড় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ”ধাপে ধাপে ছাড় দেওয়া হবে। প্রথম দফায় কাল থেকে ছাড় দেওয়া হবে। দ্বিতীয় দফায় ২১ মে থেকে”।

একনজরে দেখে নিন লকডাউনের মধ্য়ে আর কী কী ছাড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

🔴 গয়নার দোকান, বৈদ্য়ুতিন সামগ্রীর দোকান খোলা থাকবে
🔴 মোবাইল চার্জিংয়ের দোকান খুলবে।
🔴 রেস্তঁরা ছাড়া খাবারের দোকান খোলা থাকবে
🔴 ফিল্ম-টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে এডিটিং, মিক্সিং, ডাবিংয়ে ছাড় (সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে)
🔴 বিড়ি শিল্পে ৫০ শতাংশ শ্রমিককে নিয়ে কাজ
🔴 চা বাগানে ৫০ শতাংশ শ্রমিককে নিয়ে কাজ
🔴 জেলার মধ্য়ে বাস-ট্য়াক্সিকে ছাড় (গ্রিন জোন)
🔴 ১১ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডকে অনুমোদন
🔴 তাঁতের হাট খোলা হবে।

মুখ্য়মন্ত্রী এও জানান, ‘সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। ২ মাস কাজ বন্ধ থাকায় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিও ভেঙে পড়েছে। ১০০ দিনের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরা চাইলে ১০০ দিনের কাজ করতে পারবেন’। তিনি আরও বলেন, ‘১০০টি ট্রেনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁদের ফেরানোর জন্য় এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে”।