জেলা

ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত দিঘাকে ৩টি পরিকল্পনার মাধ্যমে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দিলেন নয়া ভ্রাম্যমাণ স্টল

আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দিঘা বাংলার একটি পবিত্রতম পর্যটন কেন্দ্র। দিঘা-তমলুক ট্রেন আমি চালু করেছিলাম কারণ দিঘা কতটা সম্ভাবনাপূর্ণ, তা আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। দিঘাকে সাজিয়ে তুলতে অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমফান, ইয়াসের মতো ৪টি ঘূর্ণিঝড় সব ছারখার করে দিয়েছে। দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি-সহ সব জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিঘাকে সাজিয়ে তুলতে ৩টি পরিকল্পনা করা হয়েছে। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ত্রাণ শিবির, দুয়ারে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে নষ্ট হওয়া দোকানগুলিকে সারিয়ে তুলতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কী করে প্রকৃতির রোষ সামলে বাঁচতে পারি, তার পরিকল্পনা হচ্ছে। এই ব্যাপারে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে।” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো হচ্ছে। দুয়ারে ত্রাণের মাধ্যমে দুর্গতদের আবেদনপত্র পেয়েছি। আবেদন পাওয়ার পরে তদন্ত হয়েছে, সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। ১৯ লক্ষ মানুষ সরকারি সুবিধের সুযোগ পেয়েছেন। দিঘা, সুন্দরবন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দ্রুত কার্যকর করতে চাই। ফরাক্কা জলচুক্তির সময় ৭০০ কোটি টাকাও পায়নি। কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রাপ্য টাকা পায়নি রাজ্য সরকার।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী ভ্রাম্যমাণ স্টলের পাশাপাশি মেরামতি করা স্টলগুলি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।প্রাথমিকভাবে প্রথম পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ৫০ টি ভ্রাম্যমাণ স্টলের চাবি তুলে দেওয়া হয়৷ উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় যশ জেরে এক লহমায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দিঘা৷ ক্ষতিগ্রস্থ হয় ছোট দোকানগুলি ৷ যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েন অনেকেই ৷ রোজগার বন্ধ হওয়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে ৷ যশ পরবর্তী দিঘা পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কথা বলেন এখানকার স্টল মালিকদের সঙ্গে ৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জেনে আশ্বাস দেন পাশে থাকার৷ সেই আশ্বাসই আজ বাস্তব রূপ পেল।