ভার্চুয়াল মাধ্যমে ১৬০ তম রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন
এবারও ২৫ বৈশাখের করোনা বিধির জেরে সাদামাটা ভাবে সাঙ্গ হল রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠান। তবে ভার্চুয়ালের মাধ্যমেই বাড়িতে বসেই কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শিল্পীরা। এদিন নন্দন চত্বরে সেই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করতে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আজ রবিবার এই মহামানবের জন্মদিবস শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে রবীন্দ্র সদন সংলগ্ন ক্যাথিড্রাল রোডে সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত হয় কবিপ্রণামের। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আরও অনেকে। ওই অনুষ্ঠানে রবি বন্দনায় ভার্চুয়ালে গান পরিবেশন করেছেন রাজ্যের একাধিক শিল্পী ও কলাকুশলীরা। আর এই অনুষ্ঠানে গিয়ে গায়ক-বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে রবি বন্দনায় সুরে সুর মিলিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে শুরু করে সর্বত্রই একই চিত্র। রবিবার রবীন্দ্র সদনে সরকারি অনুষ্ঠানে কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ জানান
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ ও ‘আলোকের এই ঝর্নাধারায়’ গানে গলা মেলান। এদিন রবীন্দ্র সদনের কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানে বিশ্বকবির ছবিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি জানান, ‘কবিগুরু হলেন আমাদের পথ প্রদর্শক। তাঁর চেতনা, চিন্তাধারাকে নিয়েই আমরা পথ চলি। বাঙালি তথা বিশ্বের এই বরেণ্য কবির জন্মবার্ষিকী এবছর ঘটা করে পালন সম্ভব হচ্ছে না করোনা অতিমারীর জন্য। কিন্তু তিনি সর্বদা আমাদের মননে, চিন্তনে রয়েছেন।’ এদিন সকালে সামান্য আয়োজন করা হয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মুখ্য পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর তিনি বলেন, ‘করোনার জন্য এবার কোথাও কোনও বড় অনুষ্ঠান হচ্ছে না। কিন্তু হৃদয় মানছে না। কবিগুরুর চেতনার শরিক আমরা। তাই এদিন শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলাম।’