অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গ। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ৯টি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। শনিবার ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যে ন’টি জেলার জেলাশাসকরা ছিলেন, সেগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে বঙ্গে। ঝরেছে অঝোর ধারায়। শুক্রবারও রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়। যার জের জল ছাড়তে চলেছে ডিভিসি। একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া হবে। মুকুটমণিপুর, তিলপাড়া এবং ম্যাসাঞ্জোর জলাধার থেকে সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হবে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। এরইমধ্যে ডিভিসি গতকাল ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। সেই জল আজ বিকালেই হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমা ছুঁয়ে ফেলবে। যে কারণে প্লাবিত হতে পারে গোঘাট, খানাকুল, পুরশুড়া। প্রতিটি এলাকায় সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মুকুটমণিপুরের ছাড়া জল আজ রাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকে পড়বে। প্লাবিত হতে পারে ঘাটাল মহকুমা এলাকা। ময়ূরাক্ষীর ছাড়া জলে ডুবতে পারে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার বেশ কিছু এলাকা। ডিভিসির ছাড়া জলে আমতা উদয়নারায়নপুরে বন্যার আশঙ্কা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, শনিবার রাতে জল দামোদরে ফুলে ফেঁপে উঠলে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হবে। অন্যদিকে আমতা ২ নং ব্লকের ভাটোরায় ইতিমধ্যে নীচু এলাকায় জল ঢুকেছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় ধস নিয়েও উদ্বেগ কাটছে না। কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে। এদিন নবান্ন থেকে ৯ জেলার জেলাশাসকদের সেই বার্তাই দিলেন মুখ্যসচিব।