এবার বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ থাইল্যান্ড সংলগ্ন সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যা বুধবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আন্দামান সাগরে পৌঁছাবে। সেখান থেকেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ধীরে ধীরে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। তারপরেই অর্থাত্ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ক্রমশ ধেয়ে আসবে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের দিকে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে উধাও হবে শীতের আমেজ। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি বাড়বে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকা ও ওড়িশাতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হবে। শনিবার অর্থাত্ ৪ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলের মাঝে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থলভাগে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হবে ঘন্টায় ৮৭ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রভাব পড়বে বাংলার উপকূলেও। যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা হয়ে বাংলার উপকূল তাই আগামী শনিবার থেকেই বঙ্গের আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা যাবে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত উপকূলের জেলা দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও হাওড়া, কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। উপকূলের এলাকায় থাকবে ঝোড়ো হাওয়া। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে, তুলনামূলক ভাবে দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে।বঙ্গে গত সপ্তাহের শুরুতেই ঠান্ডার আমেজ পড়েছিল। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে প্রবেশে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। তাই কিছুদিন রাতের তাপমাত্রা বাড়বে ও দেখা মিলবে না শীতের।