রাজ্যের গণপরিবহনে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা যায় কি না, তা নিয়ে রাজ্যের কাছে মত জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শুক্রবারের শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে ১২ অগস্টের মধ্যে এনিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জনৈক রেণু প্রধান একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আদালতে। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অর্থাত্ গণ পরিবহনে মেয়েদের সুরক্ষা নেই। অহরহ শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয় তাঁদের। অথচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও করা যায় না। ওই একই বিষয়ে রূপান্তরকামীরাও সুরক্ষিত নন বলেও আবেদন জানান জনৈক অঙ্কন বিশ্বাস। শুক্রবার এর শুনানিতে আদালতে তাদের আইনজীবীরা দাবি করেন, বাসে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হোক। এমন কোনও অ্যাপ আনা হোক, যার মাধ্যমে চালক-সহ বাকিদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রাখা যায়। এদিন মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, ‘বাসের বাইরে বা ভিতরে, বাস স্টপ, বাস স্ট্যান্ডে হেল্পলাইন নম্বর লাগানো যায় কি? দেশের বেশ কিছু রাজ্যে এই সুবিধা রয়েছে।’ নারীদের সুরক্ষায় হেল্পলাইন নম্বর এই রাজ্য চালু করতে পারবে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। যদি সম্ভব হয়, তাহলে খরচ-সহ বাকি তথ্য নিয়ে ১২ অগস্ট রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। পাশাপাশি রাস্তায় গণপরিবহনে অহরহ শ্লীলতাহানির ঘটনা প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এদিন বলেছেন, ‘এটা একটা মানসিকতা। যা ছোটবেলা থেকেই পরিবর্তন করা দরকার। তাই শিশুপাঠ্য পুস্তকে এই সংক্রান্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত্ রাজ্যের।’ এ বিষয়েও রাজ্যকে ভাবনা চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।