জ্যোর্তিময় দত্ত, কলকাতাঃ আজ শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। বৈঠকের পর মুখ্যসচিব জানান, করোনা চিকিত্সার শয্যার সব খুঁটিনাটি এবার থেকে জানা যাবে অনলাইনে। তিনি এও বলেন, ‘রাজ্যে কোভিড হাসপাতালে ১০ হাজারের বেশি বেড রয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কলকাতায় ১০০০ বেড রয়েছে। আজ সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে সরকারি হাসপাতালের বেডের যা পরিস্থিতি তা ইন্টারনেটে চলে আসবে। আর কাল এগারোটার মধ্যে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বেডের তথ্যই অনলাইনে চলে আসবে।’ এর ফলে সকলেই স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিকটবর্তী হাসপাতাল ও তাতে বেডের সংখ্যা জানতে পারবেন বাড়িতে বসেই। ফলে শয্যার প্রয়োজন হলে কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই যে কোনাও কোভিড রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন। পাশাপাশি, এদিন রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পিপিই-সহ সুরক্ষার সব খরচ হাসপাতাল রোগীদের থেকে নিতে পারবে না। এই খরচ দু’পক্ষ ভাগ করে দেবে। এই নিয়ে হাসপাতালগুলিকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই জানান মুখ্যসচিব। এছাড়াও, করোনা পরীক্ষা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই শহরেই কেউ কোভিড পরীক্ষার জন্য ২৮০০ টাকা নিচ্ছে। কেউ ৪৫০০ টাকা নিচ্ছে। কিন্তু সেই রেট ফিক্সড করা হোক। সরকার যদিও কিছু বলছে না এখনই। কিন্তু দু’রকমের দাম হতে পারে না। এই দাম আলোচনা করে একটাই করা হোক।’ এছাড়াও, কোভিড রোগীদের না ফিরিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে চিকিত্সা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি, প্রাণদায়ী অপারেশনের জন্য কোভিড-১৯ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন,’সবরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই এই অপারেশন করতে হবে। তাতে রোগীর প্রাণ আগে বাাঁচাতে হবে। তারপর কোভিড রিপোর্ট এলেও কিছু করার নেই।’ মুখ্যসচিব এর সঙ্গে হোম আইসোলেশনের জন্য প্যাকেজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়াও, হাসপাতালের সব ধরনের চিকিত্সাই শুরু করার অনুরোধও করা হয়েছে। তিনি এও জানান, শুধু করোনা নয়, সব ধরনের রোগীদের দেখতে হবে হাসপাতালগুলিকে। ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে রোগীর কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না, দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। তিনি এও আসস্ত করে বলেন, প্রত্যেক হাসপাতাল জানিয়েছে তারা করোনা রোগী ফেরাবে না। নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিন ওয়েবসাইট –টি
https://www.wbhealth.gov.in/pages/corona/bed_availability
https://www.wbhealth.gov.in/pages/corona/bed_availability_pvt