এবার দিল্লির (Delhi) সঙ্গে ট্রেনপথে জুড়তে চলেছে কাশ্মীর। আগামী বছরের জানুয়ারিতেই এই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । মাত্র ১৩ ঘন্টার মধ্যেই ৮০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে এই ট্রেন। প্রস্তুতি প্রায় শেষের পর্যায়ে। বিশ্বের সবথেকে উঁচু সেতু চেনাবের উপর দিয়ে যাবে এই ট্রেনটি। এই রেলপথের দায়িত্বে থাকা রেলকর্তা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এই রেল পরিষেবাটি শুরু হয়ে গেলে কাশ্মীরে যাওয়া অনেকটাই সহজ হবে। অবশিষ্ট ১৭ কিলোমিটারের কাজ চলছে, রিয়াসি ও কাটরার মধ্যে টি৩৩ টানেলের মধ্যে চারটি স্টেশন হবে। জম্মু বিভাগে বর্তমানে জোরকদমে কাজ চলছে। পাশাপাশি উধমপুল এবং কাটরা বিভাগে একদম শেষের প্রস্তুতি চলেছে। রেল পরিষেবাটির কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওয়ের হাত ধরে। এই প্রকল্পে আনুমানিক ব্যয় ২৫০০ কোটি টাকা। ২০০২ সালে এই প্রকল্পটিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একটিকে একটি জাতীয় প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর ২০১৪ সালে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেন শুরু হয় উধমপুর এবং কাটরার মধ্যে। এরপর এই প্রকল্পে আরও ৩৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তবে এই যাত্রাপথে বন্দে ভারত ট্রেনও চলানো হবে বলেও পরিকল্পনা রয়েছে রেল দফতরের। আগামী ২০ ডিসেম্বর ট্রায়াল রানের সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে কাশ্মীরে একটি ছোট রেললাইন রয়েছে, সেটি ট্রেনটি জম্মু বিভাগের সাঙ্গলদান-বানিহালের মধ্যে উপত্যকার শ্রীনগর-বারামুল্লা পর্যন্ত চলে। এই ট্রেনটির যাত্রা শুরু হলে এবার আপেল, শুকনো ফল, পশমিনা শাল, হস্তশিল্পের মতো পণ্যগুলিকে দেশের অন্যান্য অংশে সস্তায় ব্যয়ের সুবিধা হবে।