ইতিমধ্যেই তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদের লাড্ডু তৈরির ঘি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু তৈরি হত অত্যন্ত নিম্মামনের উপকরণ দিয়ে। শুধু তাই নয় এতে মেশানো হতো পশুর চর্বি। এমনই মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছে। এবারে সেই লাড্ডুর ল্যাব রিপোর্টের স্ক্রিনশট দাবি করে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। লাড্ডু পরীক্ষা দেখা গিয়েছে এর মধ্যে গরুর চর্বি, মাছের তেল ছাড়াও রয়েছে পাম তেল। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে “S” মান নির্ধারিত সীমার বাইরে রয়েছে যা “ফরেন ফ্যাট” এর উপস্থিতি নির্দেশ করে। যা প্রাথমিকভাবে গোরুর চর্বি হওয়ারই সম্ভাবনা রয়েছে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমে নমুনার ল্যাব রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য গুজরাটের জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছিল। প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি টিডিপি মুখপাত্র আনাম ভেঙ্কটা রমনা রেড্ডি শেয়ার করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু অভিযোগ করেছেন যে পূর্ববর্তী ওয়াইএসআরসিপি সরকারের আমলে তিরুপতির লাড্ডু তৈরিতে নিম্নমানের উপাদান এবং পশুর চর্বি ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর গুরুতর অভিযোগের পরে, জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন পর্ষদের পরীক্ষার রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে বিখ্যাত মন্দিরে পাওয়া লাড্ডুগুলি ভেজাল ছিল। তাদের মধ্যে গরুর চর্বি এবং মাছের তেল সহ অনেক দূষিত পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। প্রসঙ্গত, তিরুপতি শহরের বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয় বিশেষ ‘শ্রীভরি লাড্ডু’। প্রতি দিন বিশ্বের নানা প্রান্তে ভক্তদের কাছে তা পাঠানোর ব্যবস্থাও করে থাকেন তিরুপতি মন্দিরের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’ (টিটিডি) কর্তৃপক্ষ।