গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পঞ্চায়েত ভোটের আবহে একের পর এক তৃণমূলকর্মীর মৃত্যুতে। কেননা প্রতিটি ক্ষেত্রেই খুনের ঘটনা ঘটেছে। আর সেটা ঘটিয়েছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ৬ তৃণমূল কর্মীর খুন হয়েছে। আমি আমার ৬ কর্মীকে হারিয়েছি। সবটাই করেছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস মিলে। বিরোধীরা কী সুন্দর বেরাচ্ছে। যা ইচ্ছে তাই করছে। দিল্লিতে যতই দোস্তি হোক না কেন, বাংলায় তিন দলের কুস্তি চলছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের পরে পরেই কিনা কলকাতার কান ঘেঁষে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল প্রার্থী। এবারে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে দুই বাম দল CPIM-SUCI’র দিকে। জানা গিয়েছে, কুলতলির মেরিগঞ্জ এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কুতুবউদ্দিন ঘরামি। তিনি কুলতলি ব্লকের মেরিগঞ্জ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী। প্রচার সেরে রাতে ফেরার পথে কুলতলির কাছেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে বলে অভিযোগ। পায়ে গুলি লেগে জখম হন তিনি। প্রথমে তাঁকে জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। দলের প্রার্থীর ওপর এই হামলার নেপথ্যে SUCI’র হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। আবার প্রার্থীর অভিযোগ, এই হামলাবাজির পিছনে CPIM-ও জড়িত। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই কুলতলির এই এলাকা ছিল উত্তপ্ত। দফায় দফায় বোমাবাজি, সংঘর্ষ চলছিল। তারই মধ্যে কার্যত ঝুঁকি নিয়ে প্রচার সারছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কুতুবউদ্দিন ঘরামি। অশান্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একাংশের মতে, গন্ডগোলের মাঝে পড়ে পুলিশের গুলি লাগে কুতুবউদ্দিনের পায়ে। তবে তাঁর অভিযোগ, CPIM-ও SUCI’র লোকেরাই তাঁর ওপর গুলি চালিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।