দেশ

কমিশনের আচরণ ‘‌পক্ষপাতদুষ্ট’‌!‌ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকুক রাজ্য পুলিশ, স্বচ্ছ ভোটের দাবি নিয়ে সিইওর কাছে নালিশ তৃণমূলের

নয়াদিল্লিঃ নির্বাচন কমিশনের আচরণ ‘‌পক্ষপাতদুষ্ট’‌। তাই বাংলায় ‘‌অবাধ এবং স্বচ্ছ’‌ নির্বাচন ক্রমেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রাজ্যে যাতে সেই ‘‌স্বচ্ছ আর অবাধ’‌ নির্বাচন হয়, সেই আবেদন জানাতেই এদিন দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গেলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, মহুয়া মৈত্র, নাদিমুল হক এবং যশবন্ত সিনহা। কমিশনে একটি স্মারকলিপি জমা দিলেন তাঁরা। দিল্লির দপ্তরে কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও চলে তৃণমূল নেতাদের। বৈঠক শেষে সাংসদ মহুয়া মৈত্র জানান, ‘‌নির্বাচন কমিশনের কাছে আজ তিনটি বিষয় তুলেছি – ১) বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে থাকবে শুধুই কেন্দ্রীয় বাহিনী।
২) ৫ শতাংশ ইভিএম–এর ক্ষেত্রে ভিভিপ্যাট চেকিং।
৩) ১০ মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘটনা।

সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশকে থাকার অনুমতি দেয়নি। থাকবে শুধুই কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই নিয়েই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতারা। কমিশন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিমা মণ্ডল বলেন, ‘যেহেতু কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলা বোঝে না তাই কমিশনের কাছে আমার আর্জি ছিল, এক জন অন্তত রাজ্য পুলিশ দেওয়া হোক। তাহলে বিশেষত মহিলা ভোটারদের সুবিধা হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করার ব্যাপারে কোনও বাধা নেই কমিশনের তরফে। সৌগত রায় বলেন, একই সঙ্গে কোভিড সংক্রান্ত বিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্যও একজন থাকবেন, আর তিনি বাঙালি। তাই বুথে বাঙালি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ভোটদান শেষ হলে ১০০ শতাংশ ইভিএম–এর সঙ্গেই ভিভিপ্যাট মেশিনের নথি মিলিয়ে দেখতে হবে। একমাত্র তাহলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে, যে সাধারণ মানুষ নিজের ভোট দিতে পেরেছেন। কারচুপি হয়নি। ২৭ মার্চ থেকে রাজ্যে ২৯৪ আসনে ভোট শুরু হচ্ছে। ফল ঘোষণা ২ মে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভোটে হিংসা ছড়াতে পারে। তাই ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।