এক্সিট পোলের নামে মোদি-শাহ এবং বিজেপির শেয়ার কেলেঙ্কারির স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে এই কেলেঙ্কারিতে লাভবান হয়েছেন বড় অঙ্কের বিনিয়োগকারীরা, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছোট বিনিয়োগকারীরা, তাহলে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করবে তৃণমূল। বুধবার দিল্লিতে এক সংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন, দলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং সাকেত গোখেল। এই ভয়াবহ শেয়ার কেলেঙ্কারিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা জানিয়েছেন, বিষয়টিকে সংসদে এবং সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে দলের পক্ষ থেকে। তাঁদের অভিযোগ, মঙ্গলবার মুম্বইতে সেবির কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এব্যাপারে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হলেও সেবির পক্ষ থেকে লিখিত কোনও উত্তর বা আশ্বাস দেওয়া হয়নি তাঁদের। শুধুমাত্র মৌখিকভাবে বলা হয়েছে, বিষয়টি দেখব। লক্ষণীয়, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাগরিকা ঘোষ, সাকেত গোখেল-সহ বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার সেবিকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে এক্সিট পোল এবং শেয়ার কেলেঙ্কারির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান। তৃণমূলের ৩ সাংসদের সঙ্গে প্রতিনিধি দলে ছিলেন উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার সাংসদ অরবিন্দ সাবন্ত, শরদ পাওয়ারের এনসিপির নেত্রী বিদ্যা চহ্বান। সেবির দফতরের সামনেই বুথ ফেরত সমীক্ষা ও শেয়ারবাজারের অস্থিরতা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমরা সেবির চেয়ারপার্সনের দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ছিলেন না। সেবির ৩ কর্তা তদন্তের দাবি শুনে মিষ্টি হাসি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। কল্যাণবাবুর মন্তব্য, আমরা জানি সেবির এখানে কিছু করার নেই। কারণ তাঁরা মোদি-শাহর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবেন না। কিন্তু তৃণমূল স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা শেষ দেখে ছাড়বে। কারণ তৃণমূল প্রথমেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল, ভুয়ো বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখিয়ে শেয়ার বাজার তুঙ্গে তুলে দিয়ে অনেকেই বড় অঙ্কের লাভ করেছে। এনডিএ শরিক চন্দ্রবাবু নাইডুর আত্মীয়রাও যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন। সব মিলিয়ে সেবিকে চূড়ান্ত চাপে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।