কলকাতা

বিজেপির হাত ধরে বাংলায় আগমন ‘রিসর্ট রাজনীতি’-র, টুইটে কটাক্ষ অভিষেকের

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই ধীর লয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে পারা চড়ার পালা। এবারে নির্বাচন কমিশন প্রথমেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলই তাঁদের সাংসদ ও বিধায়কদের ওপর কোনও হুইপ জারি করতে পারবে না। আর তাই এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রশ ভোটিংয়ের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বঙ্গ বিজেপির ৬৯জন বিধায়ককে কলকাতা লাগোয়া নিউটাউনে একটি ৫ তারা হোটেলে রবিবার থেকেই নিয়ে এসে রেখেছিল বিজেপি। ইতিমধ্যেই নিউটাউনের সেই হোটেল থেকে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে বাস। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন বিজেপি বিধায়কদের কার্যত ‘হোটেলবন্দী’ করে রাখার বন্দোবস্ত? বিজেপির ভোট যাতে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থনেই আসে তাই নিশ্চিত করতেই কি এই পদক্ষেপ? ভোট-অঙ্ক বজায় রাখতেই কি নিউটাউনের হোটেলে বিজেপির বিধায়করা? উঠছে এমন একাধিক প্রশ্নও। আর এই ঘটনা নিয়েই এদিন বঙ্গ বিজেপিকে টুইট করে বিঁধেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘যা করবে, তার ফল ভোগ করতে হবে, এটাই কর্মফল। বিজেপি সর্বদাই সাধারণ মানুষের ক্ষমতার কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়। সবথেকে হাস্যকর, বিজেপি এতদিন অন্য দলের বিধায়কদের বন্দি করে রাখত। এবার নিজেরাই রিসর্ট-রাজনীতির শিকার। বাংলাই পথ দেখাল।’ কার্যত অভিষেক তাঁর টুইটে বুঝিয়ে দিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া কিংবা মহারাষ্ট্রে যেভাবে বিজেপি অন্যদলের বিধায়কদের ভাঙিয়ে তাঁদের হোটেল ও রিসর্ট বন্দি করে রাখত ক্ষমতা দখলের জন্য এবার সেটাই কার্যত ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে বঙ্গ বিজেপির শিবিরে। পাছে দলের কোনও বিধায়ক বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশোবন্ত সিনহাকে ভোট না দিয়ে বসেন সেই জন্য তাঁদের ২৪ ঘন্টা আগে থেকেই রিসর্ট বন্দি করেছে বিজেপি।