দেশ

আপাতত সংসদে পেশ হচ্ছে না ন্যায় সংহিতা সংক্রান্ত বিল

 ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম- দেশের আইনশৃঙ্খলার খোলনলচে বদলে দেওয়ার তিনটি বিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তৎপরতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিলের খসড়া নিয়েই একঝাঁক প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলালকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেই চিঠিতে বিল নিয়ে তাদের বিস্তর আপত্তির কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছিল, এবারের শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল পাশ করাতে চায় কেন্দ্র। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ চিঠিতে বিলের ফাঁকফোকর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এবার সেই বিষয় নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা অবধি করেছেন শাসকদলের বিধায়কেরা। তাঁদের দাবি, এই বিল বাস্তবায়িত হলে ন্যায়ের বদলে হতে পারে অন্যায়ও। এই প্রসঙ্গে  ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘‘দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা। আর অনিরাপদ শহর হল দিল্লি, যা অমিত শাহর পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। তিন রাজ্যের ভোটে জিতেও আতঙ্কিত মোদি-শাহ। সেই কারণে ন্যায় সংহিতা বিল তাঁরা এনেছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনার সিবিআই আমার বাড়িতে এসেছে। কী পেয়েছে? ভেবেছেন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে চলে যাব? আমি যাব না। ভেবেছেন ভয় পেয়েছি? অনেকে ভয় পেয়েছে। আমরা পাইনি। পুলিশ তান্ত্রিক দেশ করতে চাইছে। ন্যায় সংহিতা বিল নিয়ে এত তাড়াতাড়ি কেন? আপনাদের নেতা তো বলেছে ৪০০ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে। তাহলে এত তাড়া কেন? ২০২৪ সালের ভোটের পরেই আনতে পারতেন।’’