বিদেশ

ইমরানের গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল করল ইসলামাবাদ আদালত

তোষাখানা মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রাধানমন্ত্রী তথা তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। শনিবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল করলেন ইসলামাবাদ জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক জাফর ইকবাল। আগামী ৩০ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ফের আদালতে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিদেশ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রির অভিযোগ তুলে পিটিআই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দেশের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইমরানের সাংসদ পদ বাতিলের পাশাপাশি পাঁচ বছরের জন্য ভোটে লড়ার অধিকারও কেড়ে নিয়েছিল। ওই মামলাতে হাজিরা না দেওয়ার জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ইসলামাবাদ জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক জাফর ইকবাল। পরে ১৩ মার্চ দ্বিতীয়বারের জন্য জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই নির্দেশ কার্যকর করতে ৫ ও ১৪ মার্চ লাহোরের জামান পার্কের বাড়িতে হানা দেয় ইসলামাবাদ পুলিশ। যদিও পিটিআই সমর্থকদের প্রবল বাধার মুখে খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে। গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজের আর্জি জানিয়ে লাহোর ও ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইমরান। দুই হাইকোর্টের পক্ষ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারির উপরে শনিবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। পাশাপাশি পিটিআই চেয়ারম্যানকে নিম্ন আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন ইসলামাবাদ জেলা আদালতে হাজির হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। যদিও জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সের গেটেই আটকে পড়েন তিনি। ভিতরে ঢোকা নিয়ে ইসলামাবাদ পুলিশের সঙ্গে দফায়-দফায় সংগর্ষ হয় পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের। শেষ পর্যন্ত গাড়িতে বসেই আদালতে হাজিরা দেন ইমরান। আর ওই হাজিরার পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল করেন বিচারক জাফর ইকবাল। ।