পরিবর্তন নাকি প্রত্যাবর্তন, বহুচর্চিত সেই প্রশ্নের জবাব দিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়। শুরু থকেই বিজেপির বিরুদ্ধে রিগিং, ভোটারদের বাধা দেওয়া ও বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে ২ সিপিএম কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণকে ঘিরে শান্তিরবাজার, ধনপুর, খয়েরপুর-সহ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের বাধাদান ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। বিরোধীদের অভিযোগ ভোটদানে বাধা দিচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ অশান্তি তৈরি করছে সিপিএম কংগ্রেস জোট। ত্রিপুরার ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভবানীপুর ও দুর্লভপুরে ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে ভোটাররা। আবার খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নাথপাড়া এলাকায় ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ভোটারদের লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। শান্তিবাজারেও বিরোধীদের মারধর এবং ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শান্তিবাজারে অশান্তি নিয়ে সরব হয়েছে বামেরা। অভিযোগ, সেই বিধানসভা কেন্দ্রের কালাছড়াতে দুই সিপিএম কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মীদের হাতে। অন্যদিকে ৪০ থেকে ৪৫ বুথে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার। তিনি জানিয়েছেন, ইভিএম মেশিনে গন্ডগোলের খবর পাওয়ার পর সেগুলিকে পাল্টে দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে। আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার কারণে ত্রিপুরার বিজেপি এবং কংগ্রেসকে নোটিস পাঠাল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কংগ্রেস এবং বিজেপির তরফে দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার আবেদন করে টুইট করার অভিযোগ এনেছে নির্বাচন কমিশন। অশান্তির মাঝেই ৮১ শতাংশ ভোট পড়েছে ত্রিপুরায়।