ভিনগ্রহী প্রাণী নিয়ে নানাবিধ দাবি উঠলেও এখনও পর্যন্ত তার সত্যতার অমিল। নজিরবিহীন ঘটনা ঘটাল মেক্সিকো কংগ্রেসে। এলিয়েন আছে কি নেই – সেই জল্পনা আবারও উস্কে দিল মেক্সিকো কংগ্রেস যে প্রদর্শনী। তা দেখলে কী বলবেন? সেই প্রদর্শনীর ছবি এবং ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দুটি দেহ, দেখতে মানুষের মতো নয়, সরু দেহ, হাতে তিনটি আঙুল এবং শরীরের তুলনায় মাথা বড়। দাবি করা হয়েছে, ও দুটি ভিনগ্রহীদের মৃতদেহ। ১০০০ বছরের পুরনো সেই মৃতদেহ জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে। কাচ দিয়ে ঢাকা দুটি বাক্সে ওই অদ্ভুত দুটি জিনিস পেশ করেছেন সাংবাদিক এবং ইউফোলজিস্ট জেইমে মসান। আমেরিকানস ফর সেফ এরোস্পেস-এর
এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং প্রাক্তন মার্কিন নৌসেনা রায়ান গ্রেভসও হাজির ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। বলা হচ্ছে, পেরুর কুকসুতে পাওয়া গিয়েছে এই দুই ‘দেহ’। কংগ্রেসে দাবি করা হয়েছে এগুলি কোনও মানুষের দেহ নয়। ভিনগ্রহী বা এলিয়নদের দেহের অবশেষ। বহির্জাগতিক প্রাণী দুটির দেহ প্রায় ১ হাজার বছর পরনো বলেও দাবি করা হয়েছে। এগুলি জীবাশ্মের অবশিষ্টাংশ বলেও বিশ্বাস করা হয়। সাংবাদিক ও ইউফোলজিস্ট জেইম মৌসান এগুলি উপস্থাপন করে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের প্রথম সারির গবেষকরাও , ছিলেন আমেরিকানস ফর সেফ অ্যারোস্পেসের প্রধান রায়ান গ্রেভস, মার্কিন নৌবাহিনীর প্রাক্তন পাইলট।ইভেন্টে ইউএফও এবং অজানা
অস্বাভাবিক ঘটনা প্রদর্শন করে বেশ কিছু ভিডিও দেখানো হয়েছে। মৌসান, সান লাজারো আইনসভা প্রাসাদে বলেন, এই নমুনাগুলি তাদের স্থলজগতের বিবর্তনের অংশ নয়। এগুলি ইউএফও। দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধার করা প্রাণীও নয়। তবে ডায়টম বা শ্যাওলা। খনি থেকে পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই জীবাশ্ম আকারে ছিল। মৌসান কংগ্রেসকে জানিয়েছেন দুটি মৃতদেহর ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অন্যান্য ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। তবে দেখা গেছে ডিএনএ -র ৩০ শতাংশেরও বেশি অংশ অজানা। যে ধাতুর অস্তিত্ত্ব পৃথিবীতে নেই, তেমন ধাতুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এটিতে বিরল ধাতব ইমপ্লান্টের রয়েছে। যা ডিমের উপস্থিতি প্রকাশ করে। মৌসান বলেছেন,
‘মানব-বহির্ভূত প্রযুক্তি এবং অ-মানব সত্তা সম্পর্কে জনসাধারণের জানার অধিকার রয়েছে। আমরা এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছি যা মানবতাকে এক করে, আমাদের আলাদা করে না। এই বিশাল মহাবিশ্বে আমরা একা নই; আমাদের এই বাস্তবতাকে গ্রহণ করা উচিত’। জানা গেছে, রাজধানী শহরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বহির্জাগতিক জীবনের অস্তিত্বই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। দ্যা ইন্ডিপেনডেন্টের রিপোর্ট অনুসারে অজ্ঞাতপরিচয় অস্বাভাবিক ঘটনার ওপর দৃষ্টি দিতেই কংগ্রেসের শুনানির সময় অনলাইভে লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়েছে। মেক্সিকো সিটি পেরুর কুসকো থেকে উদ্ধার করা দুটি মৃতদেহ দেখান হয়।