নবান্ন অভিযান নিয়ে গোপন ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তার সূত্র ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং সৌমেন চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূলের প্রকাশ্যে আনা ভিডিওতে তাঁদের দেখা গিয়েছে। বাবলু ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত ঘাটাল থানার খড়ার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র বিজেপি কাউন্সিলর। তবে এখনও একজন পলাতক। তাঁর নাম বিপ্লব মাল। তিনি চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে খবর মিলেছে পুলিশ সূত্রে। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এক জন পলাতক। আটক হওয়া দুই বিজেপি নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের পরিকল্পনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে আইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে।’’ দুই নেতাকে আটক করে দলকে বদনাম করা হচ্ছে বলে
অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং পুলিশ এক হয়ে বিজেপিকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। আরজি কর নিয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা সকলেই দেখেছেন। আর এখন বিজেপির দু’জনকে আটক করা হল ঘাটালে।’’ সোমবার সকালেই তৃণমূল অভিযোগ করেছে যে, আরজি কর-কাণ্ডকে হাতিয়ার করে নবান্ন অভিযানের নামে গুলি চালানো, এমনকি খুনেরও ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘একটা বড় চক্রান্ত চলছে কালকের মিছিল ঘিরে। শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। ওরা বলছে বডি চাই।’’ পরে তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে দু’টি গোপন ভিডিয়োও প্রকাশ করেছেন কুণাল। তাতে একাধিক ব্যক্তির মুখে ঘুরেফিরে এসেছে ওই শব্দ। কেউ বলেছেন ‘বডি চাই’। কেউ বলেছেন, ‘‘বডি পড়বেই। রাবার বুলেট চলবে।’’ ভিডিয়োয় তাঁরা এ-ও দাবি করছেন যে, ২৭ তারিখের আন্দোলন আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে না। তার কারণ, ‘বডি’ অর্থাৎ লাশ বা মৃতদেহ না পেলে আন্দোলন জোরদার হয় না।’’