বিদেশ

ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, সংঘর্ষে মৃত ২, জারি কারফিউ

রবিবার থেকেই অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তার আগে, শনিবার থেকেই থমথমে পরিবেশ বাংলাদেশ জুড়ে। নতুন করে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। কারণ, শনিবারই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ ঘিরে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রাম এবং গাজিপুরের শ্রীপুর এলাকায় ওই দুজন মারা গিয়েছেন। শনিবার, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, গাজিপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ঘিরে সংঘর্ষ হয়। চট্টগ্রামে, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরই সঙ্গে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সেই সময় গুলিবিদ্ধ নিহত হয়েছেন স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শহিদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে সেখানের পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান। গুলিবিদ্ধ হয়েই তিনি মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ অভিযান) আব্দুল মান্নান মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।’ বহদ্দারহাটে পুলিশ কোনও গুলি ছোড়েনি। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে এবং লাঠিচার্জ করে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালানো হয়। বহদ্দারহাট মোড় এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনেও হামলার ঘটনা ঘটে। সেই এলাকাতেই গুলিবিদ্ধ হন শহিদ।