দুই নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে দিঘায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার দুই যুবক। ঘটনার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক নাবালিকার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দাসপুর থানার পুলিশ। প্রথমে ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে দাসপুরের দুই নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে দিঘার এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে বেকায়দায় ভিন জেলার দুই যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশকিছু দিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার শ্রীধরপুর এলাকার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর এলাকার এক যুবকের পরিচয় হয় ফেসবুক সূত্রে। অল্প সময়ের মধ্যেই ওই নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসায় পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা বিট্টু জানা। ২ মে বাড়ি থেকে পড়তে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে যায় শ্রীধরপুরের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সঙ্গে ছিল তার আরও এক সহপাঠী। রাস্তাতেই দেখা হয় বিট্টু জানা এবং তার আরেক সঙ্গী রাধাকান্ত বেরার সঙ্গে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, সেখান থেকে দুই নাবালিকাকে ধৃত যুবক এবং তার সঙ্গীর সঙ্গে একটি গাড়িতে গোপীগঞ্জের দিকে চলে যায়। ওই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁতে চাউমিন খাবার সময় খাবারের সঙ্গে কিছু মাদকদ্রব্য তাদেরকে খাইয়ে দেয়। ফলে দুই নাবালিকাই অচেতন হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে দেখে তারা দিঘার হোটেলে রয়েছে এবং দুটি পাশাপাশি রুমে দুই যুবক তাদের পাশেই শুয়ে আছে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে নাবালিকা ছাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে ভয় পেয়ে কীর্তিমান দুই যুবক তাদের বাড়ি পৌঁছে দিতে আসে ওই মারুতি নিয়েই। এদিকে টানা দু’দিন নিখোঁজ থাকার কারণে পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজখবর শুরু করে দেয়। বুধবার রাতে মারুতি গাড়ি নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করতেই অপরিচিত যুবকদের ধরে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের একটি ক্লাব ঘরে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এমত অবস্থায় রাতেই এক নাবালিকা ওই ক্লাব ঘরেই একটি রুমে সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই তাকে উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাবালিকার বাড়ির লোকের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই দুই যুবকে গ্রেফতার করে দাসপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ তোলা হবে আদালতে।