শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় হাইকুই আছড়ে পড়েছে তাইওয়ানে।রবিবার স্থানীয় সময় বিকালে এই টাইফুন ভূখণ্ডটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে। এর জেরে ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হয়েছে দেশটির বিমান পরিষেবা।এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শহর ও কাউন্টিগুলোতে স্কুল এবং দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবারও প্রায় ২০০ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে টাইফুন হাইকুই আছড়ে পড়ার পর ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদিও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় স্বাভাবিক করতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।তাইওয়ানের রাষ্ট্র-চালিত ইউটিলিটি তাইপাওয়ার জানিয়েছে, হাইকুই আছড়ে পড়ার পর ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগেরই সংযোগ পুনরায় চালু করা সম্ভব হলেও এখনও ৩৪ হাজারের কম পরিবার বিদ্যুৎহীন রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন থাকা পরিবারগুলোর প্রায় অর্ধেকই তাইতুংয়ের পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্টির।এদিকে টাইফুন হাইকুইয়ের জেরে দক্ষিণ, পূর্ব ও মধ্য তাইওয়ানজুড়ে বিভিন্ন কাউন্টি ও শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বাতিল এবং সোমবার শ্রমিকদের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সোমবারও রাজধানী তাইপেইতে বিক্ষিপ্তভাবে দমকা বৃষ্টি হয়েছে।ইওয়ানের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট টাইফুনের জেরে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে। তবে এতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।তাইওয়ানের সরকার বলছে, হাইকুই আছড়ে পড়ার আগে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলসহ কিছু এলাকা থেকে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া টাইফুন হাইকুইয়ের আঘাতের শঙ্কায় রবিবার তাইওয়ানে অভ্যন্তরীণ সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়। তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার ব্যুরো জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে হাইকুই তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে চিনের দিকে যেতে শুরু করেছে। তবে এই টাইফুনের প্রভাবে সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাইওয়ানজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।