করোনা সংক্রমণ দেশের কিছু রাজ্যে কমছে। সংক্রমণ কমছে মানেই রাশ আলগা নয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী করা দরকার সে নিয়ে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জরুরি পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। দেশের কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড অ্যাকটিভ রোগী বা ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে। আর সংক্রমণ কমার কারণেই সেইসব রাজ্যে কোভিড বিধির রাশও আলগা হচ্ছে। চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের পরামর্শ দেন, সংক্রমণের হার বা কোভিড অ্যাকটিভ কেসের হার কমলেও কোভিড বিধির সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। এলাকাভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করে অধিক সংক্রামিত এলাকাগুলিতে কড়া নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কোভিড রুখতে ‘পাঁচ স্ট্র্যাটেজি’ মেনে চলতে হবে—কোভিড নিয়ে সচেতনতা, করোনা পরীক্ষা (টেস্ট), কনট্যাক্ট ট্রেসিং (ট্র্যাক), চিকিত্সা (ট্রিটমেন্ট) ও টিকাকরণ। ভিড ও জমায়েতে লাগাম টানতে হবে সবচেয়ে আগে, তাছাড়া হাত ধোওয়া, পারস্পরিক দূরত্ব, মাস্ক পরা এগুলো ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাই সতর্কতা ও সচেতনতা সবদিক দিয়েই দরকার। করোনা পরীক্ষা আরও বাড়াতে হবে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও কোভিড টেস্ট কমিয়ে দিলে চলবে না। বস্তুত, কোভিড পরীক্ষার মাধ্যমেই দ্রুত সিম্পটোমেটিক ও অ্যাসিম্পটোমেটিক বা উপসর্গহীন রোগীদের শণাক্ত করা যায়। প্রয়োজন হলে প্রতিটি কনটেইনমেন্ট জ়োনকে সংক্রমণের নিরিখে আরও ছোট ছোট এলাকা বা মাইক্রো-কনটেইনমেন্ট জ়োনে ভাগ করতে হবে। মাইক্রো-কনটেইনমেন্ট এলাকাগুলিতে আরও বেশি কোভিড টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং করতে হবে। টিকা নিয়ে মানুষের মনে ভয় দূর করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাকি টিকার মতো করোনার টিকাতেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে ত্রুটিপূর্ণ ফল মিলতে পারে, যা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ বিষয়ে আমজনতাকে বোঝাতে হবে। টিকাকরণে গতি আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে।