সিএপিএফ-এ নিয়োগের পরীক্ষা। জেনারেল স্টাডিজ বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নের বহর দেখলে চোখ কপালে উঠবে। তালিকায় রয়েছে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দিল্লির কৃষক প্রতিবাদ’ সম্পর্কে প্রশ্ন, রয়েছে ‘বাংলার ভোট হিংসা’ বিষয়ক প্রশ্নও। CAPF-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলার নির্বাচনী হিংসা নিয়ে ২০০ শব্দের একটি নিবন্ধ লিখতে বলা হয়েছে। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকারি নিয়োগের পরীক্ষায় কী ভাবে এই ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন থাকতে পারে, সদুত্তর উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না অনেকেই। রাজনীতিকরণের অভিযোগ নিয়ে অস্ত্র শানাচ্ছে বিরোধীরাও। গত ৮ অগাস্ট সিএপিএফ-এর নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষাটি হয়, তার পর থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে এই প্রশ্ন নিয়ে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, “যদি সত্যি এমন প্রশ্ন হয়, বাতিল করা হোক। ইউপিএসসি কর্তাদের অবিলম্বে খারিজ করা হোক। এই নিয়োগ বিজেপির শাখা সংগঠন করছে। প্রশাসন দখল করতে দলদাস তৈরি করছে বিজেপি। এমন চললে কিছুতেই সংবিধান রক্ষিত হবে না।” সাংসদ সৌগত রায় বলছেন, “গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। অথচ এই বিষয়টি স্বচ্ছ পক্ষপাতমুক্ত হওয়া উচিত ছিল। দেশের সাধারণ মানুষ এবং বিরোধীদের ছোট করা হচ্ছে এই ভাবে। যারা এই চাকরিতে যোগ দেবেন তারা মনে ভেদভাব নিয়েই যোগ কাজে যোগ দিতে আসুন এমনটাই চান নিয়োগকারীরা।”