জেলা

ওয়াকফ আইন নিয়ে অশান্তি, বাসে আগুন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, জখম ফরাক্কার এসডিপিও

মুর্শিদাবাদে আবারও ওয়াকফ আইন নিয়ে অশান্তি ৷ শুক্রবার ফের অগ্নিগর্ভ জঙ্গিপুর মহকুমার সুতি ও সামশেরগঞ্জ ব্লক ৷ পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে জখম ফরাক্কার এসডিপিও মনিরুল ইসলাম খান ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি হতে থাকে৷ পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করেছে ৷ ফাটানো হয়েছে কাঁদানের গ্যাসের সেল ৷ একটি বাসেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা ৷ এই পরিস্থিতিতে সুতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ৷ এদিকে বিক্ষোভকারীদের তরফে দাবি, পুলিশ গুলি চালিয়েছে এবং তাতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৷ যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ ৷ ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সুতির সাজুরমোড় ও সামশেরগঞ্জ ব্লকের নতুন ডাকবাংলা মোড় অবরুদ্ধ করে বিক্ষুব্ধরা ৷ দুই জায়গায় দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷ পুলিশকে নিশানা করে ইটবৃষ্টি হয় ৷ বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে ৷ এই অবস্থায় পুলিশও লাঠিচার্জ করে ৷ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয় ৷ এরই মধ্যে সুতির সাজুরমোড় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি বোমা বর্ষণ করে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা ৷ জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দমোহন রায় বলেন, “পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৷ ওয়াকফ বিল সংশোধনের প্রতিবাদে জঙ্গিপুর মহকুমা অশান্ত ৷” এর আগে বুধবার, রঘুনাথগঞ্জ থানার উমরপুরে পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষ ৷ সেদিন থেকেই জঙ্গিপুর মহকুমাজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে ৷ রঘুনাথগঞ্জে ১৬৩ ধারা লাগু করার ফলে মিছিল, মিটিং ও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুতি ৷ পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিক্ষুব্ধদের ৷ সেই রেশ চলতে থাকে শুক্রবারও ৷ ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সুতি ও সামশেরগঞ্জ ৷ ক্ষোভের আঁচ এসে পড়ে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে ৷ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা ৷ অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশ জনতা সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ রঘুনাথঘঞ্জেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় ৷ পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে ৷ জনতা ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় ৷