জেলা

রাজ্যে বাড়তে চলেছে অসংগঠিত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি

খুব শীঘ্রই রাজ্যে অসংগঠিত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করা হবে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন West Bengal Minimum Wages Advisory Board’র চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব। গতবছর নভেম্বর বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় গৌতম দেবকে। তিনি ছাড়াও বোর্ডে আছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, শ্রমদফতরের আধিকারিকরা এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কীভাবে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো যায় তা নিয়ে বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলে গৌতমবাবু জানিয়েছেন। ২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়েছে। আগামী দিনেও এই সরকার চা, হোসিয়ারি শিল্প, বিড়ি শ্রমিক, পাট শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি বাড়ানোর পথে হাঁটবে বলে গৌতমবাবু জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বোর্ডের কাছে উত্তরবঙ্গে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার প্রস্তাব এসছে। চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার জন্য অনেকদিন আগে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কমিটি এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। ন্যূনতম মজুরি দ্রুত নির্ধারণ হলে চা শ্রমিকদের উপকার হবে। বর্তমানে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। এতে শ্রমিকরা প্রাপ্য অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই বোর্ডের মিটিংয়ে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে চা শ্রমিকদের সংগঠনগুলির তরফে। এছাড়া বিড়ি শ্রমিকদেরও ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবি উঠেছে। বর্তমানে ১০০০ বিড়ি বাঁধার জন্য দৈনিক ১৭৮ টাকা করে মজুরি পান বিড়ি শ্রমিকরা। এটাই বাড়িয়ে ২৫০টাকা করার প্রস্তাব এসেছে। এছাড়া হোশিয়ারি ও জুট শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোরও প্রস্তাব এসেছে বোর্ডের সদস্যদের কাছে। বর্তমানে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৩২ টাকা। তা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার প্রস্তাবও এসেছে।