ফেক ভিডিও প্রচারের বিরুদ্ধে তৎপর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৷ গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য পুলিশ তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে ফেক ভিডিও প্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচার করে চলেছে ৷ তার মধ্যে শনিবার রাজ্য পুলিশ তাদের টুইটার হ্যান্ডেল ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশে একটি ছবি শেয়ার করেছে ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে ২টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা দু’টি পোস্ট পাশাপাশি রাখা ৷ একটি ফেক এবং অপরটি অরিজিনাল বলে উল্লেখ করা ৷ এবং সেই পোস্টে রাজ্য পুলিশর তরফে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশের একটি ভিডিয়ো এখানে পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা বলে ছড়ানো হচ্ছে ৷ রাজ্য পুলিশের তরফে ওই দু’টি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে যে ছবি শেয়ার করা হয়েছে তাতে মাহি বৈষ্ণব নামে অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা ভিডিয়োটি ফেক বলে দাবি করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে রহমত আলি হেলালির পোস্ট করা ভিডিয়োটি বাংলাদেশের এবং সেটি অরিজিনাল বলা হয়েছে ৷ সেখানেই দেখা যাচ্ছে রহমত আলির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্টটি করা হয়েছে গত ২৭ এপ্রিলে ৷ ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ভোলার দৌলতখানে এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে হিন্দু তরুণীর বিয়ের ঘটনায় তৈরি হওয়া অশান্তির ভিডিয়ো সেটি ৷ তারপর সেই একই ভিডিও-র একটু অংশ গত ৬ মে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর মাহি বৈষ্ণবের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে ৷ ভিডিওতে ১৫-২০ জন দুষ্কৃতী এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে খুন করে বলে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ পোস্টটির ক্যাপশনে হিন্দিতে যা বলা হয়েছে তার বাংলা তর্জমা যা দাঁড়ায় তা হল, পশ্চিমবঙ্গে মানুষ নয়, শয়তানের বসবাস । বাংলার মানুষ এই ঘটনায় বলছেন, যা হয়েছে ঠিক হয়েছে ৷