আন্দোলনের শুরু হয়েছিল, আর জি করে ঘটে যাওয়া ৯ আগস্টের ঘটনার প্রতিবাদে। জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্ট দীর্ঘ সময় আন্দোলনে পথে থেকেছে। একাধিক পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের ধারা নিয়ে একগুচ্ছ প্তশ্ন উঠেছে, প্রশ্ন উঠেছিল রাজনীতির যোগ নিয়েও। এবার কার্যত সম্মুখ সমরে জুনিয়র চিকিৎসকরাই। একদিকে জুনিয়র ডক্টরস’ ফোরাম, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জুনিয়র ডক্টরস’ অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে বারবার নিজেদের দাবি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের ইমেল করেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন জুনিয়র ডক্টরস’ ফোরাম। এবার পালটা আট দফা দাবি নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে মেল গেল জুনিয়র ডক্টরস’ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। মুখ্যসচিবকে দুই পক্ষের পাঠানো ইমেলে যেমন রইল মিল, তেমন রইল বিরোধও । এর আগে বারবার জুনিয়র ডক্টরস’ ফোরাম যেসব দাবি নিয়ে ইমেল করেছিল, সেই দাবিগুলির অন্যতম ছিল নির্যাতিতার বিচার। জুনিয়র ডক্টরস’ অ্যাসোসিয়েশনের ইমেলের প্রথম দাবিও তাই। কিন্তু পরের দাবিগুলির মধ্যে স্পষ্ট পূর্ব সংগঠনের বিরুদ্ধ ক্ষোভ। যার মধ্যে অন্যতম জুনিয়র ডক্টর’স ফ্রন্টের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের তদন্ত। নবগঠিত ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করেছিল, পূর্ব সংগঠন অর্থাৎ জুনিয়র ডক্টর’স ফ্রন্ট নির্যাতিতার নামে ৪কোটি টাকা তুলেছে। দাবি করেছিল, ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে, তা দিয়ে কী করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে জানানো হোক। এর পাল্টা জুনিয়র ডক্টর’স ফোরাম আমাদের অডিট চলছে ৷ সব হিসেব, প্রমাণ-সহ সব নথি প্রকাশ্যে আনা হবে ৷ আন্দোলনের আয়-ব্যায় রয়েছে বলেও জানায় তাঁরা।