নিজস্বী তুলতে না চাওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটার পৃথ্বী শ’কে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে এক দল সমর্থকের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে স্বপ্না গিল নামে এক তরুণী আবার পৃথ্বীর বিরুদ্ধে পাল্টা নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে যান তিনি। আর সেই অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন স্বপ্না। জানা গিয়েছে, সান্তাক্রুজের একটি বিলাসবহুল হোটেলে নৈশভোজে গিয়েছিলেন পৃথ্বী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কিছু বন্ধু। সেই সময় হোটেলে থাকা কিছু ভক্ত পৃথ্বীর সঙ্গে নিজস্বীর আবদার করেন। পৃথ্বী হাসিমুখে দু-এক জনের আবদার মেটান। কিন্তু একের পর এক ভক্ত আসতে থাকায় তিনি বিরক্ত হয়ে বলেন, তিনি এখানে খাবার খেতে এসেছেন। তাই তাঁকে যেন আর বিরক্ত না করা হয়। তার পরেও ওই কয়েক জন ভক্ত তাঁকে বিরক্ত করতে থাকেন। এর পর পৃথ্বীর বন্ধু হোটেলের ম্যানেজারকে ফোন করে অভিযোগ জানান। তখন হোটেলের ম্যানেজার ওই দলটিকে হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এতেই তাঁরা রেগে যান। যখন পৃথ্বী এবং তাঁর বন্ধুরা হোটেল থেকে বেরোচ্ছেন, তখন দেখেন বেসবল ব্যাট নিয়ে ওই দলটি অপেক্ষা করছে। তাঁরা পৃথ্বীর বন্ধুর গাড়ি আক্রমণ করেন। সামনের এবং পিছনের কাচ ভেঙে দেন। পরিস্থিতি খারাপ দেখে পৃথ্বীকে অন্য গাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই গাড়িকে তাড়া করেন ওই ভক্তরা। জোগেশ্বরী লোটাস পেট্রল পাম্পের সামনে সেই গাড়ি থামানো হয়। ভক্তদের গাড়ি থেকে এক তরুণী বেরিয়ে এসে দাবি করেন, ৫০ হাজার টাকা না দেওয়া হলে তিনি পৃথ্বীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করবেন। এর পর পৃথ্বীর বন্ধু ওশিওয়ারা থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করে অভিযুক্তদের খুঁজতে শুরু করেন। হোটেলের কর্মীরা ওই ভক্তদের দলের কয়েক জন ফোন নম্বর নিয়ে রেখেছিলেন। সেখান থেকে সানা ওরফে স্বপ্না গিল এবং শোভিত ঠাকুর নামে দু’জনের নাম পাওয়া যায়। পুলিশ মোট আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এর পরেই ওশিওয়ারা থানায় অভিযোগ করতে যান স্বপ্না। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, পৃথ্বী নির্যাতন করেছেন স্বপ্নাকে। এমনকি, হোটেলে পৃথ্বীর বন্ধু মারধোর করেছেন ওই তরুণী এবং তাঁর বন্ধুদের। স্বপ্নার আইনজীবী জানান, থানার তরফে কিছুতেই চিকিৎসকদের কাছে পরীক্ষা করাতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু সেই অভিযোগে কান দেয়নি পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে স্বপ্নাকেই।