ক্রাইম

কেরলে সঙ্গী অদল-বদলের ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর মৃত্যু

সঙ্গী অদলবদলের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নানা মহলে। এবার সেই মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য কেরলের কোট্টায়াম জেলাপ মানারকাড়ুতে ৷ তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে ৷ ওই মহিলা মানারকাড়ুর মালামের বাসিন্দা ছিলেন ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বছর ২৬ এর ওই মহিলা তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতেন ৷ বাবা ও ভাই কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ৷ এই ঘটনায় মৃতের বাবা তাঁরা জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷পুলিশ সূত্রে খবর মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে সঙ্গী অদলবদলের অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন ৷ গতকাল সকালে মহিলার বাবা ও ভাই কাজে বেরিয়ে যান ৷ সেই সময় মহিলা বাড়িতে সন্তানের সঙ্গে একাই ছিলেন ৷ কিছুক্ষণ পরে ওই মহিলাকে তাঁর সন্তান রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় ৷ সে ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানায় ৷ এরপর প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দেন । সেই সঙ্গে মহিলার বাবা ও ভাইকেও বিষয়টি জানানো হয় ৷পুলিশ মহিলার দেহ উদ্ধার করে কোট্টায়াম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য ৷ মৃতের বাবা পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে জানিয়েছেন তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছেন জামাই ৷ পুলিশ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ৷ তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে মহিলা ২০২২ সাল থেকে স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন ৷ অভিযোগ তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে সঙ্গী অদলবদলের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ তবে সেই ঘটনার জেরেই মহিলাকে খুন হতে হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে ৷ খুনের আসল কারণ জানতে পুলিশ তাঁর স্বামীর খোঁজ চালাচ্ছে ৷ জানা গিয়েছে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এক মহিলা পুলিশের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে সঙ্গী অদলবদলের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে ৷ অভিযোগ সেই দলের সকলেই সঙ্গী বা স্ত্রী অদলবদলের সঙ্গে জড়িত ৷ মহিলা দাবি করেছিলেন তাঁর স্বামী অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে তাঁকে জোর করতেন ৷ রাজি না হওয়ায় তাঁকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন ৷ আর এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ একটি চক্রের হদিশ পায় ৷ জানা যায় সামাজিক মাধ্যমে একটি বিশাল বড় চক্র এই সঙ্গী অদলবদলের মতো কাজ করত ৷”