দেশ

গণধর্ষণ ‘সাজানো ঘটনা’, দাবি যোগী রাজ্যের পুলিশের

দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালের টুইটে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়। গাজিয়াবাদে এক মহিলাকে অপহরণ করে দু’দিন ধরে গণধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচার চালানোর অভিযোগ সামনে আসে। ফের ফিরে আসে নির্ভয়াকাণ্ডের স্মৃতি। অভিযোগ দায়েরের দু’দিন পর তদন্ত রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের।  সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান প্রবীণ কুমার দাবি করেন, ”পুরোটাই সাজানো ঘটনা। তিনি বলেন, গাজিয়াবাদের ঘটনা পুরোটাই মিথ্যা। সম্পত্তি-জমিজমা সংক্রান্ত কিছু বিবাদের কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফাঁসাতেই অপহরণ ও গণধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন তরুণী। তিনি অপহৃত হননি। বরং ওই দু’দিন তিনি তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। পরে ওই পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ঘটনায় অভিযোগ ওঠা পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতারও করা হয়। তারপরই এই জমি সংক্রান্ত মামলার তত্ত্ব সামনে আসে।” মিথ্যে অভিযোগের জন্য শাস্তির মুখে পড়বেন ওই তরুণী তাও জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩৬ বছরের ওই মহিলা বন্ধুদের সঙ্গে দু’দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁকে মাঝরাস্তায় ছেড়ে যায় বন্ধুরাই। পুলিশের দাবি, দিল্লি-গাজিয়াবাদের কানেক্টিং আশ্রম রোড, যেখান থেকে ওই মহিলাকে বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়, সেখান থেকে মহিলার পরিচিতের মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন মিলেছে। তদন্ত রিপোর্টে দাবি, ওই জায়গায় তরুণীকে ছাড়ার পর মোবাইল অফ করে দেয় তাঁর পরিচিত। টাওয়ার লোকেশন সার্চ করে এই তথ্য মিলেছে। ঘটনায় ব্যবহৃত সন্দেহে একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। তদন্তকারী পুলিশের দাবি অনুযায়ী, পুরোটাই ছিল ষড়যন্ত্র। এবিষয়ে তরুণীর সাহায্যকারী তিন ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটিকে প্রচার করার জন্য টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত দুইদিন ওই মহিলা ছিলেন তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে। তাদের মধ্যে একজনের ফোন সুইচড অফ ছিল। যে গাড়ি করে মহিলা তাঁর বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল, সেই গাড়িটিও উদ্ধার করেছে। মহিলার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।