ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি তথা বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও হেনস্থার অভিযোগ এনে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ভিনেশ ফোগত, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ার মতো কুস্তিগিররা৷ যন্তরমন্তরে দিনের পর দিন চলছে অবস্থান বিক্ষোভ৷ দাবি, একটাই, ব্রিজভূষণের গ্রেফতারি৷ বুধবার মধ্যরাতে সেই যন্তর মন্তরই যেন হয়ে উঠল রণক্ষেত্র৷ পুলিশের সঙ্গে কুস্তিগিরদের তীব্র ধস্তাধস্তি৷ হাতাহাতি৷ ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের অভিযোগ, গত বুধবার সন্ধে থেকেই তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করেছিলেন দিল্লি পুলিশের একটি দল। তাঁরাই হঠাৎ বুধবার রাতে তাঁদের উপরে চড়াও হয়৷ বেধড়ক মারধর করে তাঁদের৷ মহিলা কুস্তিগিরদের সঙ্গেও অভব্য আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ চলে লাগাতার গালিগালাজ। ঘটনায় ২ জন আন্দোলনরত কুস্তিগির আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর৷ তার মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ শীর্ষস্থানীয় কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট বুধবার রাতে সংবাদমাধ্যমের সামনেই ভেঙে পড়েন। বলেন, ‘আমরা কি এই দিনটি দেখার জন্য পদক জিতেছি’? বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন যে একজন পুলিস কর্মকর্তা মত্ত অবস্থায় দুই কুস্তিগীরকে আক্রমণ করেছেন। সেই সময় তাঁর সহকর্মীরা নীরব দর্শক ছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ফোগত বলেন, ‘সেই পুলিস সবাইকে ধাক্কা দিচ্ছিল’। তিনি আরো বলেন, আমরা অপরাধী নই যে তারা আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হবে। তিনি ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিশের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ফোগত প্রশ্ন করেন, ‘পুলিশ আমাকে গালিগালাজ করেছিল এবং ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। মহিলা পুলিশ কর্মীরা কোথায়’। অন্যদিকে ঘটনার পরে পুলিস যন্তর মন্তর এলাকাটি সিল করে দিয়েছে এবং কাউকে প্রতিবাদের জায়গায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। এদিন ধরনা মঞ্চে কাছ থেকে জোর করে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (ডব্লিউএফআই) প্রধান ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন কুস্তিগীররা। তারা সাতজন মহিলা কুস্তিগীরকে যৌন হয়রানি ও ভয় দেখানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ সিংয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন দের মধ্যে একজন নাবালিকা। ব্রিজ ভূষণ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপি চাইলে তিনি পদত্যাগ করবেন।