বিবিধ

বিশ্বজুড়ে ‘জম্বি ডিয়ার’ রোগ নিয়ে নয়া শঙ্কা, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে নয়া শঙ্কা। বিশেষজ্ঞদের দুশ্চিন্তার কারণ এবার ‘জম্বি ডিয়ার ডিজিজ’ ওরফে ক্রনিক ওয়েস্টিং ডিজিজ। নভেম্বর মাসে ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইমিং-এ পাওয়া একটি হরিণের মৃতদেহ পরীক্ষা করে এই রোগের হদিশ পায়। তারপর থেকেই ভাইরাসে ঘটিত এই রোগ নিয়ে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা। প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত কোনও মানুষের উদাহরণ এখনও পাওয়া না গেলেও মানুষকে সতর্ক করছেন গবেষকরা। বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষের প্রিয় হরিণের মাংস। আর সেই মাংস থেকেই ক্রমশ ক্ষয়কারী অসুখ বা ক্রনিক ওয়েস্টিং ডিজিজ ছড়িয়ে পড়বে মানুষের শরীরে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। ঠিক কী এই ‘জম্বি ডিয়ার’ রোগ? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস প্রবেশ করলে আক্রান্তের স্বাস্থ্যকর মস্তিষ্কের প্রোটিনগুলি ভাঁজ হয়ে যায়। এই ভাইরাসগুলিও এক ধরনের প্রোটিনও বটে। যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের দেহে জম্বি ভাইরাস রোগের সম্ভাবনা তৈরি করে।সিডব্লু ডি বা পোশাকি নাম জম্বি ডিয়ার ডিজিজ। সাধারণত হরিণ, রেনডিয়ার, এল্ক এবং আমেরিকান হরিণের মধ্যে দেখা গিয়েছে। এই রোগ সরাসরি পশুর মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। এই রোগে পশু ঝিমিয়ে পড়ে, দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, চোখে ঝাপসা দেখতে থাকে এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুমৃ ত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। তাই গবেষকরা একে প্রাণঘাতীই বলেন। জম্বি ডিয়ার রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ হল হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া অনিদ্রা বা ডিমেনশিয়া, হ্যালুসিনেশন, হাঁটা ও কথা বলতে অসুবিধা, বিভ্রান্তি,  ক্লান্তি এবং পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া। কিন্তু কেন এই ভাইরাসঘটিত এই রোগটিকে ‘জম্বি’ নাম দেওয়া হয়েছে? আসলে সিডাব্লুডি রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর হাঁটাচলা জম্বির মতো অবিন্যস্ত এবং বিকৃত হয়ে যায়। সেই কারণেই গবেষকরা একে ‘জম্বি ডিয়ার ডিজিজ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। সম্প্রতি আমেরিকার ইয়াওমিংয়ের ইয়েলোস্টোন ন্যাশানাল পার্কে একটি হরিণের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি সিডব্লু ডি আক্রান্ত। ইয়েলোস্টোন এলাকার এক গবেষকের তথ্য অনুযায়ী এই রোগ দ্রুত সংক্রামক এবং ছড়াতে পারে মানুষের শরীরেও।