ইশিতা উপাধ্যায়, কলকাতাঃ হলিউডে জম্বিদের নিয়ে বহু সিনেমা দেখেছেন দর্শকরা। বলিউডে হাতে গোনা কয়েকটা হলেও বাংলায় জম্বিদের নিয়ে কাজ করার কথা কেউ ভেবেছেন বলেও মনে হয় না। তবে সেই ভাবনা এবার স্থান পেয়েছে বাংলার পরিচালক অভিরূপ ঘোষের মাথায়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ‘রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ’-এর পর এখন পরিচালক হিসেবে অভিরূপ ঘোষ ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত মুখ। যদিও এর আগে তাঁর পরিচালিত ‘কে-দ্যা সিক্রেট আই’ বলে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল কয়েকবছর আগে। কিন্তু তা সেভাবে পরিচিতি দিতে পারেনি এই পরিচালককে। তবে তাতে ছবি তৈরির ইচ্ছেটা দমে যায়নি কোনওভাবেই। প্রথম থেকেই অন্যরকম গল্প বা ধারা নিয়ে কাজ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে অভিরূপের মধ্যে। যার নমুনা দর্শক ‘রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ’-এও পেয়েছে। এবারে তিনি বাংলা সিনেমায় জম্বিদের আগমন জানাতে
চলেছেন। এইপ্রথম বাংলায় তৈরি হচ্ছে জম্বি ঘরানার ছবি। নাম ‘জম্বিস্থান’। কিছুদিন আগেই ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। ছবিতে জুটি বেঁধেছে রুদ্রনীল ঘোষ ও তনুশ্রী চক্রবর্তী। ছবির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন রজতাভ দত্ত। এছাড়া অভিনয়ে রয়েছেন দেবলীনা বিশ্বাস, জিনা তরফদার, সৌরভ সাহা-সহ আরও অনেকেই। ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন অঙ্কিত সেনগুপ্ত। সংগীত পরিচালনায় মেঘ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিরাজ সেন। পরিচালক ছবির প্রেক্ষাটের সময়টাকে এগিয়ে দর্শককে নিয়ে গিয়েছেন ভবিষ্যতে, যেখানে মনুষ্যজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন। ঠিক এমনই একটি পরিস্থিতিতে ‘জম্বিস্থান’-এর গল্প ফেঁদেছেন অভিরূপ। কালের যেই পরিবর্তনের সংজ্ঞা পরিচালকের কাছে অন্যরকম। যাকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘ব্ল্যাক ডে’ বলে। অভিরূপ ঘোষ ‘জম্বিস্থান’-এর গল্পের রিল টাইমে ২০৩০ সালকে ধরতে চেয়েছেন। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে বায়ো কেমিক্যাল অস্ত্রের আঘাতে প্রায় গোটা মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে। সেখানে কয়েকটি মানুষের বাঁচার লড়াই ফুটে উঠবে তাঁর ফ্রেমে। তবে তাদের পরিস্থিতি এবং উদ্দেশ্য পুরোটাই আলাদা। গল্পটা শুনে একটু অন্য ধরনের মনে হলেও ছবির চরিত্রগুলো মজার। একটি অঞ্চলে যেমন একমাত্র জীবিত তনুশ্রীর চরিত্রটি। যার নাম আকিরা। সে নিজে যেমন বাঁচার চেষ্টা করে। তার সঙ্গে যে ক’জন জীবিত তাদেরও উদ্ধারের চেষ্টা করে চলেছে প্রানপণে। সেই জার্নিতেই তনুশ্রীর সঙ্গে দেখা হয় রুদ্রনীল এবং রজতাভর চরিত্রের। এই দু’জনের চরিত্রের মধ্যেও রয়েছে একাধিক পরত। রুদ্রনীলের চরিত্রের নাম অনিল চট্টোপাধ্যায়।