কলকাতাঃশহরে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের জোয়ার। খাতায় কলমে এখনও শুরু না হলেও, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে পৌঁছে গিয়েছে দেবী প্রতিমা। উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ প্যান্ডেলের। এমনিতেই এবছর পুজোর মূল পাঁচদিন, ষষ্ঠী থেকে দশমী শহরে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই শহর, মফস্বলের আম জনতা চাইছে আগে ভাগেই যতটা সম্ভব শহরের প্রতিমা গুলির দর্শন করে নিতে। আর চতুর্থীর দিন দুপুরের পর থেকে মানুষের এই হুজুগ, আবেগ, উদ্দীপনারই সাক্ষী থাকল কলকাতা। কার্যত জনপ্লাবনে এদিন শহর ভেসেছে বলা চলে। দুপুর থেকে রাত সময় যত গড়িয়েছে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ ভেসেছে মানুষের ভিড়ে। অনেকেই বলছেন সপ্তমী, অষ্টমীর ভিড়টা যেন এবার চতুর্থীতেই আছড়ে পড়েছে শহরে। ফলে পুজোর সেই চেনা দৃশ্যের এদিন সাক্ষী থেকেছে গোটা শহর। রাস্তার মোড়ে মোড়ে জ্যাম। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত পুলিশ, ফুটপাথের দখল নিয়ে সারি সারি কালো মাথা আর মানুষের পা। কলকাতার অন্যতম দুই নামী পুজো একডালিয়া এভারগ্রিন এবং সিংহিপার্কের উদ্যোক্তারা জানাচ্ছে এদিন সন্ধ্যে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত তাঁদের পুজো দেখতে এসেছেন ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ। রাত যত বেড়েছে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের ভিড়ও।চতুর্থীর এই ভিড় দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে চতুর্থীর দিন, যেখানে এই অবস্থা সেখানে পঞ্চমী থেকে কী হবে শহরের? তবে পুলিশের একাংশ মনে করছে যেহেতু চতুর্থীর দিন গান্ধি জয়ন্তী পড়েছিল, তাই গতকাল দুপুর থেকে অনুমানের থেকেও বেশি ভিড় হয়েছিল রাস্তাঘাটে। কিন্তু পঞ্চমী যেহেতু কাজের দিন, অধিকাংশ বেসরকারি ও কেন্দ্রীয় অফিস-কাছারিই এদিন খোলা থাকছে তাই দুপুরের দিকে এদিন সেরকম ভিড় হয়তো হবে না। কিন্তু বিকেলের পর শহর যে মানুষের দখলেই চলে যাবে তা মেনে নিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরাও।