কলকাতা

উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে পার্থ, দুষলেন সুব্রত

কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক তখনই উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সময় পুলিশ না ডেকে ভুল করেছেন উপাচার্য। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েতমন্ত্রীর সংযোজন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকার এক্তিয়ার একমাত্র উপাচার্যের।বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে ঘিরে ক্যাম্পাসেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, মন্ত্রীকে শারীরিকভাবেও হেনস্থা করে পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য এবং সহ উপাচার্য দু’জনই। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু’জনেই। এদিন উপাচার্য এবং সহ উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বেলা গড়াতেই হাসপাতালে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বেশ কিছুক্ষণ উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। শারীরিক অবস্থার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়েও খোঁজখবর নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতালে এসেছিলাম।অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তির ঘটনায় বকলমে উপাচার্যকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পুলিশ না ডাকার জেরে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়েছে বলেও দাবি করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠাতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকতে পারেন একমাত্র উপাচার্য। কেন ডাকলেন না তিনি পুলিশ? তিনি ভুল করেছেন।’ পাশাপাশি সুব্রবাবু বলেন, ‘উনি (সুরঞ্জন দাস) তো বলেছেন পদত্যাগ করবেন কিন্তু পুলিশ ডাকবেন না। তো রাজ্য সরকারের ঘাড়ে কটা মাথা আছে পুলিশ পাঠাবে? একজন মন্ত্রীকে বাধা দেওয়া অপরাধ। যারা করেছে কমিশন ডেকে তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সৌজন্যতা দেখিয়ে উপাচার্য একটা ফুল দিয়েও অভ্যর্থনা জানাতে পারতেন।’ যার পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা ওঁর (সুব্রত মুখোপাধ্যায়) ব্যক্তিগত মতামত। দলের বক্তব্য নয়। দলের উপরে কেউ নয়। ওঁর মনে হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন।’