ঝাড়গ্রাম: এবার জঙ্গলমহলে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের কাছে ১০ হাজার টাকা করে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এহেন অভিযোগ করেছেন একেবারে হত দরিদ্র পরিবার গুলি। ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের এই অভিযোগ উঠতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। টাকা ফেরত চাইতে তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়েছিলেন পরিবার গুলি। বেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুশীল সরেন, অসিত শবর, ভীম রানাদের অভিযোগ, আমাদের সরকারি ঘর বানানোর নাম আসতেই প্রথমে অ্যাকাউন্টে ৪২হাজার এসেছিল। তখন রাস্তায় দাঁড় করিয়ে আমাদের কাছ থেকে ১০হাজার করে টাকা নিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূলের বুথ সভাপতি অমরনাথ ওরফে বাউরি দাস ও দিলীপ দাস, পল্টন পাল। ওরা বলেছিল ১০হাজার টাকা না দিলে পরের পর্যায়ে কোনও টাকা পাব না। তাই ভয়ে আমরা ওই টাকা দিয়েছিলাম।মমতা পাত্র নামে এক উপভোক্তা বলেন, অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার পরই রাস্তায় ১০ হাজার টাকা নিয়েছে তৃণমূল নেতারা। ওই টাকা নেওয়ার পর ঘর সম্পূর্ণ করতে পারেনি। পরে ধার করে বাড়ির জানালা-দরজা বসিয়েছি। মমতা পাত্র, রানি সোরেনরা বলেন,‘আমরা টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখন বাইরের থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়েছিল অমরনাথের বৌ। কথা বলতে না পেরে আমরা ঘরে ফিরে আসি।’ তৃণমূলের তৎকালীন বুথ সভাপতি তথা বর্তমানে বেলিয়া অঞ্চলের সম্পাদক অমরনাথ দাস বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বহুদিন আগে ওদের ঘর হয়েছে, এখন বলছে আমরা টাকা নিয়েছি।