কলকাতা

কালীঘাটে জেলা সভাপতিদের নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক

কলকাতাঃ শুক্রবার দুপুরে কালীঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে সমস্ত জেলা সভাপতি ও শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁদের নিয়ে আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে চলে এই ওয়ার্কশপ। প্রশান্ত কিশোর হিন্দিভাষী। সেই জন্য যাঁরা বাংলায় বললেন, সেটা তাঁকে হিন্দি ও ইংরেজিতে বুঝিয়ে দিলেন দলের সভাপতি সুব্রত বক্সি। ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একজন করে নেতৃত্ব উঠছেন এবং নিজেদের বক্তব্য রাখছেন। আর সেই প্রেক্ষিতে প্রশান্ত কিশোর তাঁর মতামত দিয়েছেন। সূত্রের খবর, দিন জেলা স্তরে তৃণমূলের ভোট প্রস্তুতির কাঠামো গড়তে বলা হয়। ওই বৈঠকে দলের চালু কাঠামো ভেঙে বুথ স্তর থেকে তথ্য পেতে বিধানসভা কেন্দ্র পিছু ১৫ জন উপযুক্ত কর্মী বাছাই করতে বললেন প্রশান্ত কিশোর ।   বিধায়কদের উপদেশ মাসে কমপক্ষে সাত দিন নিজের কেন্দ্রে কাটানোর জন্য।

প্রশান্ত কিশোরের দাওয়াই-  ১) বুথস্তরে ১৫ জনের কমিটি গড়তে হবে। ওই কমিটিতে থাকবেন এলাকার সমস্ত সম্প্রদায়ের অন্তত একজন করে প্রতিনিধি। ধর্মের ভিত্তিতে শুধু নয়, সামাজিক ভিত্তিতেও সবার প্রতিনিধিত্ব। এঁদের ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থাকবে রাজ্য নেতৃত্বের হাতে। তাঁদের সঙ্গে কলকাতার অফিস নিয়মিত কথা বলবে।

২) বিধায়কদের দায়িত্ব এখন সবচেয়ে বেশি। তাঁকেই কমিটির সঙ্গে সমন্বয়ের কাজটা করতে হবে। বিধায়কদের নিজের এলাকায় থাকতে হবে। কলকাতায় আসার দরকার নেই। অন্তত মাসে ৭ দিন এলাকায় রাত্রিবাস করতে হবে।

৩) পুলিশের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে। কোনও সমস্যা হলে দলকে জানাতে হবে। নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

৪) ক্ষমতার অপব্যবহার কোনওভাবেই কাম্য নয়। মানুষ এসব ভাল চোখে দেখে না।

৫) বিধানসভা ভোট দু’বছর বাকি। হাতে যথেষ্ট সময় আছে। দলের এই গাইডলাইন নিয়ে চললে যেসব এলাকায় ক্ষোভের সুযোগ নিয়ে বিজেপি ঢুকেছে তাদের মোকাবিলা করা কোনও সমস্যাই নয়।

৬) সবাই দলের লাইনে চলুন। দলনেত্রী কী বলছেন নজর রাখুন। কোনও অকারণ ঝামেলায় কেউ জড়াবেন না।