কলকাতাঃ ‘দেউচা-পাঁচামি নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।’ দেউচা-পাঁচামি নিয়ে ফের এই মন্তব্যই করলেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘খোলা হাওয়া’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’-এর এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, অভিনেত্রী রিমি সেন ও বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের সহ-সভাপতি অরিন্দম চক্রবর্তী-সহ অন্যান্যরা। সাংবাদিক বৈঠকের পর সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দেউচা-পাঁচামি নিয়ে রাজ্যের ভূমিকা সন্দেহজনক বলে ইঙ্গিত দেন স্বপনবাবু। পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়াই কীভাবে এই প্রকল্প উদ্বোধনের চেষ্টা চলছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি পুজোর পর বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনির উদ্বোধন করার আমন্ত্রণ জানান। এই বিষয়টি জানতে পারার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি চিঠি লেখেন স্বপনবাবু।পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমতি ও আদিবাসীদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা ছাড়াই রাজ্য এই প্রকল্প উদ্বোধনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ জানান। অনুমোদনহীন একটি প্রকল্পের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে এনে রাজ্যের শাসকদল নিজেদের দায়ভার কেন্দ্রের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে বলেও উল্লেখ করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেই প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে বলে জানান।বৃহস্পতিবার এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘তাহলে এখন কেন লোককে ভাঁওতা মেরে দেখানো হচ্ছে। দেখানো হচ্ছে যে রাজ্যের কাছে অনুমতি আছে আর কেন্দ্রও তা দিয়ে দিয়েছে। এভাবে তো মানুষের কাছে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এটা কি জমি নিয়ে কোনও জল্পনা তৈরি চেষ্টা হচ্ছে। না মানুষকে ভুল আশ্বাস দিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এত তাড়াহুড়োর কী আছে। আগে পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমোদন জোগাড় হোক। আদিবাসীদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা হোক। তারপর উদ্বোধনের কথা ভাবা যাবে। একটা খোলা মাঠ উদ্বোধন করিয়ে কী হবে? লোকের মনে আতঙ্ক তৈরি করার কী দরকার আর? কয়লাখনি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করেই প্রকল্প উদ্বোধনের চেষ্টা চলছিল। আসলে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানহানির চেষ্টা হচ্ছিল। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই বিচক্ষণ মানুষ। তিনি সবকিছু খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমার বিশ্বাস।’