নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ নন্দনের সামনে থেকে মিছিল করে বিজেপি। এক্সাইড থেকে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম পর্যন্ত মিছিলে যোগ দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ আরও অনেকে। কুমারগঞ্জে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এদিন পথে নামে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে এদিন দুপুর ১২টায় নন্দন থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না থাকায় মিছিল শুরুতেই ‘বাধা’ পায়। কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয় বলে খবর। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পদ্মবাহিনী। হাইকোর্টের নির্দেশে পরিবর্তিত রুট এক্সাইড থেকে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম পর্যন্ত মিছিল শুরু করে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে মিছিল করতে হচ্ছে, এটা বাংলার কাছে লজ্জার’’।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের এক কিশোর বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বারবার কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে মারধর করত ধৃত মূল অভিযুক্ত মহাবুর মিঞা। সম্প্রতি কিশোরীর বিয়ে ঠিক হওয়ায় অত্যাচার বাড়তে থাকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের নারকীয় ঘটনায় নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই মেয়েকে গণধর্ষণ, তারপর খুন করা হয়েছে। প্রথমে গণধর্ষণ। জ্ঞান হারানোর পর ফের ধর্ষণ। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বার বার গণধর্ষণ, অত্যাচারে অচেতন কিশোরীকে গলা কেটে পোড়াল দুষ্কৃতিরা। কিশোরীর মায়ের দাবি, ধৃতরা পরিচিত। পরিকল্পনা করেই গণধর্ষণ। তারপর খুন করা হয়েছে মেয়েকে। ধৃত মহাবুর মিয়াঁর বিরুদ্ধে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এনেছেন কিশোরীর মা। ধৃত মহাবুর গোয়ায় কাজ করে। কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, বাড়িতে এলেই বিয়ের জন্য চাপ দিত মহাবুর। বিয়েতে রাজি না হওয়াতেই রাগ ৷ কিশোরীর মায়ের দাবি, সম্প্রতি কিশোরীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয় ৷ তারপরেই মহাবুর হুমকি দিতে থাকে ৷ পুলিশে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করে কিশোরীর পরিবার ৷ মহাবুরের পরিবার ক্ষমা চেয়ে নেয় ৷