কলকাতা

নিউ সেক্রেটারিয়েট ভবনে সিবিআই হানা

জ্যোর্তিময় দত্ত, কলকাতাঃ নিউ সেক্রেটারিয়েট ভবনে সিবিআই হানা দিল। জানা গেছে, বর্তমান পর্যটন সচিব তথা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিবের অফিসে হানা দিয়েছেন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। ২০১৩ সালে সারদা চীটফান্ড কর্তা সুদীপ্ত সেন কাশ্মীরে গ্রেফতার হবার পর সারদার একটি টিভি চ্যানেল দায়িত্ব নিয়ে রাজ্য সরকার তা চালাবার সিদ্ধান্ত নেয় । তথ্য-সংস্কৃতি দফতর তার তত্বাবধানে থাকবে। সিদ্ধান্ত হয় সারদার টিভি চ্যানেলের দায়ভার নেবে রাজ্যসরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সেই চ্যানেল -কে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ছ’কোটি টাকা সেই চ্যানেলের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। এই সংক্রান্ত তদন্তের জন্যই রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিবের দফতরে সিবিআই গোয়েন্দারা গিয়েছেন

বলে খবর।  উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সারদা-তদন্তে পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের অফিসে যায় সিবিআই। তাঁর বক্তব্য জানতে পর্যটন দফতরে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় অত্রিবাবু পরে কথা বলবেন বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানান এবং এর পরই আজ সিবিআই নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে অত্রি ভট্টাচার্যের অফিসে আসে। এদিন দুপুর দু’টো নাগাদ সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা ওই অফিসে যান। যে সময় সারদার চ্যানেলের দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেয় তখন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব ছিলেন অত্রি ভট্টাচার্য। এখন সিবিআই জানতে চায়, সেই সময়ে সরকার এই দায়িত্ব নিতে চাইলেও সচিব হিসেবে অত্রিবাবু কেন বাধা দেননি। সিবিআইয়ের বক্তব্য, লক্ষ লক্ষ আমানতকারীর টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত সারদা সংস্থার মালিককে গ্রেফতারের পরে সরকার কেন তাদের টিভি চ্যানেলকে টাকা দিয়েছিল। যে সময় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সারদার চ্যানেলে টাকা গিয়েছিল, সেই সময় ওই তহবিলে অন্য বেশ কিছু অর্থলগ্নি সংস্থা টাকা দান করেছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। সরকারি বাজেট থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা দেওয়া হয়েছিল।  সিবিআইয়ের প্রশ্ন, দানের টাকায় চলা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের টাকা কেন ওই চ্যানেলকে দেওয়া হল।

এ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তৎকালীন সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে আগেই চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। জবাবে সরকার জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সহায়তা করা হয়েছিল। সিবিআই ওই ফাইল চেয়ে পাঠালে সরকার তা দিয়ে দেয়। ফাইল অনুযায়ী, চ্যানেলকে টাকা দেওয়ার ‘চূড়ান্ত অনুমোদন’ দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।