বাংলাদেশের মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল দেশ। অধ্যক্ষের কুপ্রস্তাবের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠায় ১৯ বছরের নুসরাতকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-সহ মোট ২১ জনকে। আজ বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে অধ্যক্ষ এস এম সিরাজদৌল্লা-সহ ১৬ জনকে ফাঁসির সাজা শোনালেন ঢাকা আদালতের বিচারক। রায়দানকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল বাংলাদেশের ফেনি ও সোনাগাজির সদর উপজেলা। এ দিন সকাল থেকেই আদালত চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় র্যাফ। রাস্তার মোড়ে বসানো হয় পুলিশ পিকেট। নুসরাতের বাড়িতেও পুলিশি প্রহরা বসানো হয়। সরকারপক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বলেছেন, “আজকের রায় ঐতিহাসিক। বাংলাদেশ প্রমাণ করে দিয়েছে এই ধরনের অপরাধের কোনও ক্ষমা হয় না। অপরাধীরা তাদের যোগ্য শাস্তি পেয়েছে।”