এবারেই প্রথম বাড়িতে বসে প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে। সেখানে ইংরেজি ও হিন্দিতে ফর্ম ফিলাপের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি থাকছে তামিল, মালায়লম ও অসমিয়া ভাষাতেও ফর্ম ফিলাপের ব্যবস্থা। অথচ সেখানে জায়গা পায়নি বাংলা। বাংলার সঙ্গেই ভোট হচ্ছে অসম, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু ও কেরলে। অথচ সেখানে ইংরাজি ও হিন্দি ভাষার পাশাপাশি স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষায় ফর্ম ফিলাপের ব্যবস্থা রাখা হলেও বাংলার ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আর এই নিয়েই এখন বড়সড় বিতর্ক বেঁধেছে। ঘটনার জেরে কাঠগড়ায় খোদ নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ উঠেছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে যারা যারা প্রার্থী হতে চান তাঁরা যদি অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে চান তাহলে তাঁদের ইংরেজি বা হিন্দি ভাষাতে মনোনয়ন দাখিল করতে হবে। বাংলার ভোটে বাঙালিদের অধিকার দেওয়া হয়নি অনলাইনে বাংলা ভাষায় মনোনয়ন দাখিল করতে। অথচ এ রাজ্যের বেশির ভাগ মানুষই বাংলাভাষী। তারপরেও বাংলার ভোটে নির্বাচন কমিশন বাংলা ভাষাকেই ব্রাত্য করে দিয়েছে। বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে চলা নির্বাচন কমিশনের এহেন ভূমিকা ঘিরে শুধু রাজ্যের নানা মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে তাই নয়, কার্যত প্রশ্ন উঠে গিয়েছে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও।