বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটল গোটা দেশ। জাগল সারারাত। দেখল গোটা ভারতবাসী। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত এটাই ছিল জাতীয় রাজনীতির চিত্র। বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক আঞ্চলিক দল সারারাত পাহারা দিল ইভিএম রাখা স্ট্রং রুমের বাইরে। নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের করা অভিযোগ খারিজ করে দিলেও খামতি রাখতে চায়নি রাজনৈতিক দলগুলি। ইভিএমে যাতে কারচুপি করতে না পারে বিজেপি সেইজন্যই এই পাহারা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পাহারা দেওয়ার আর্জিই করেছিলেন সকলের কাছে। যা বাস্তবে কার্যকরী হতে দেখা গেল। যদিও ইভিএমে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ থেকেই। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দ্বিগ্বিজয় সিংকে দেখা গেল স্ত্রীকে নিয়ে স্ট্রং রুমের বাইরে রাত পাহারা দিতে। কংগ্রেস কর্মীদের দেখা গেল রাত পাহারা দিতে রায়বরেলিতে। মঙ্গলবার বিভিন্ন ভিডিও নিয়ে ২২টি বিরোধী দল নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছিল। তাঁরা ভিভিপ্যাটকে প্রথমে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি করেন। মিলিয়ে দেখতে দাবি করেন কাগজের স্লিপের সঙ্গে ইভিএমের। রাতের অন্ধকারে কারচুপি করতে পারে বিজেপি বলেও তাঁরা দাবি করেছিল। চণ্ডীগড়, মুম্বই–সহ প্রত্যেকটি রাজ্যে কড়া পাহারা দেন কংগ্রেস কর্মীরা। তিরুঅনন্তপুরম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শশী থারুর বুধবার স্ট্রং রুমের বাইরে পাহারা দেবেন বলে খবর। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে স্ট্রংরুমের সামনে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা। স্ট্রংরুমের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। ধারেকাছে তাঁরা যাচ্ছেন না। কিছু দূর থেকেই কর্মীরা নজর রাখছেন। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপি গণনাকেন্দ্রের সামনে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। দলের কোনও কর্মী যেন টেবিল ছেড়ে না ওঠেন। কমিশন যে সব নির্দেশ দিয়েছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।