দেশ

বিজেপি নেতা অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে, এই অভিযোগের পরেই নিখোঁজ ছাত্রী

উত্তরপ্রদেশঃ কলেজ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা হস্টেলের ছাত্রীদের ওপরে অত্যাচার করেন। অনেক মেয়ের জীবন এভাবে নষ্ট করেছে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ স্বামী চিন্ময়ানন্দ। গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে স্বামী সুখদেবানন্দ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের এক ছাত্রী। আর সেই অভিযোগের পরই নিখোঁজ হয়ে গেল আইনের ওই ছাত্রী। ২৩ বছরের ওই তরুণীর বাবা অভিযোগ করেছেন, বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ স্বামী চিন্ময়ানন্দের নামে। তিনিই ওই কলেজের ডিরেক্টর। আর পুলিশ এখনও সেই অভিযোগ গ্রহণ করেনি। যদিও স্বামী চিন্ময়ানন্দের আইনজীবী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, চিন্ময়ানন্দের উপর চাপ দিয়ে টাকা আদায়ের জন্য এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী ওই কলেজের হস্টেলে থাকতেন। সম্প্রতি এক ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমি শাহজাহানপুরে থাকি এবং এসএস কলেজে পড়াশোনা করি। ‌সন্ত সমাজের এক বড় নেতা যিনি বহু মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন, এবার আমাকেও খুন করবেন বলে শাসাচ্ছেন। আমাকে বাঁচান। ওর বিরুদ্ধে আমার কাছে এমন অনেক তথ্য রয়েছে, যা কিনা প্রমাণ করবে ওই ব্যক্তি প্রচুর মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। আর তাই তিনি আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকেও খুন করবেন বলে শাসাচ্ছেন। দয়া করে আমাকে বাঁচান। এই ক’‌দিনে আমার উপর দিয়ে কী বয়ে চলেছে, তা কেবল আমিই জানি। ‌ওই সন্ন্যাসী নাকি জেলাশাসক ও পুলিশকে নিজের পকেটে পুরে রেখেছেন। মোদিজি এবং যোগীজি আমাকে বাঁচান। আমি আপনাদের কাছে বিচার চাইছি।’‌ এরপরই তরুণীর ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ নেই। অভিযোগকারিনীর বাবার কথায়, ‘‌শেষবার রাখীর দিন মেয়ে বাড়ি এসেছিল। ওর ফোন সুইচড অফ থাকে কেন?‌ এই প্রশ্ন করায় মেয়ে বলে, আমার ফোন বেশিক্ষণ সুইচড অফ থাকলে মনে করবে, আমি কোনও বিপদে পড়েছি। আমার ফোন তখনই বন্ধ হবে, যখন সেটি আমার হাতে থাকবে না। আমার মেয়ে খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে থেকে যাচ্ছে। গত চারদিন ধরে তাঁর কোনও খবর নেই। আমি কলেজ ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছি। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি।’‌ তাঁর আশঙ্কা, মেয়েকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘‌আমার মনে অনেক আশঙ্কা জাগছে। আমি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, আমার মেয়ে সেখানে যায়নি। আমার মেয়ে যাদের বিরুদ্ধে বলেছে, তারা খুব প্রভাবশালী লোক। রাজ্যে ও কেন্দ্রে তাদেরই সরকার আছে। আমি আশা করি মোদীজি ও যোগী আমাদের সাহায্য করবেন।’‌ এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ‘‌এখনও এফআইআর দায়ের হয়নি। দায়ের হলে অবশ্যই ঘটনার তদন্ত হবে।’‌