জেলা

মমতা-মোদীর সম্পর্ক ৫০-৫০ বিস্কুটের মতো: মহম্মদ সেলিম

পূর্ব বর্ধমান: দুই হেভিওয়েট নেতার আগমন ঘিরে সকাল থেকেই সরগরম বর্ধমান শহর। একজন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অন্যজন সিপিএম শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ মহ.সেলিম। আর নেতাদের আনাগোনায় বৃষ্টি হল খলনায়ক। আচমকা রেলমন্ত্রীর থেকে আগ বাড়িয়ে ওভারব্রিজের অ্য়াপ্রোচ রোড উদ্বোধনে মন্ত্রী সুব্রত বাবুর আগমনে প্রশাসনে চাঞ্চল্য় ছিল। আর পূর্ব ঘোষিত বামেদের সমাবেশ ঘিরে ছিল সাত শতাংশে নেমে যাওয়া দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা।তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শহরের জমজমাট মোড় কার্জন গেট এলাকায় মহ. সেলিমের ভাষণে হই হই করেছেন বাম সমর্থকরা। তিনি বলেন, দিদি মোদীর সম্পর্ক ৫০-৫০ বিস্কুটের মতো। দু জনেই দুজনকে পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে অবিরত। ভাষণে মহ.সেলিমের মূল লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এন আর সি ইস্যু। তিনি বলেন, এন আর সি আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মুখে এনআরসি বিরোধিতা করলেও তিনি সংঘ পরিবার ও বিজেপির মদতকারী। সংঘের মতোই মমতা পশ্চিমবাংলায় ধর্মের তাস খেলছেন। বাম আমলে কোনও কেন্দ্রীয় নেতার সাহস হয়নি বাঙালিদের উইপোকা বলার।অথচ, মমতার সরকারের আমলে তেমনই বলেছেন অমিত শাহ। বাম আমল থাকলে এদের হিম্মত হতনা এমন কথা বলার। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বাম শক্তিতে বিরাট ধস নামে। ৭ শতাংশে নেমে দাঁড়ায় বাম ভোট। সেলিম বলেছেন, সাময়িক এই বিপর্যয় কাটিয়ে মানুষ ফের বামদিকে মুখ ঘোরাবেন। কারণ, ধর্মের বিভাজন দিয়ে বেশিদিন চলে না। কর্মহীনতার বিরাট ধাক্কা থেকে মুখ ঘুরিয়ে দিতে বিজেপি লাগাতার চেষ্টা করছে।রাজ্যে বাম সরকারের আমলে ধর্মীয় মেরুকরণ হয়নি বলেই জানান সেলিম। তিনি বলেন, পূর্বতন বাম সরকার শিল্পের দাবি তুলে কারখানা গড়তে গিয়েছিল। আর এখনকার সরকার শিল্প রসাতলে পাঠিয়েছে।