কলকাতা ক্রাইম

মেয়েকে টানা ৪ বছর ধরে দেহ ব্যবসা ও পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করতে বাধ্য করতো মা-বাবা

জোর করে কলগার্ল হিসেবে কাজ করতে বাধ‍্য করত । এমন কী তাঁকে অভিনয় করানো হয়েছে পর্নোগ্রাফিক ফিল্মেও । পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ আনলেন যুবতি। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসে বালিগঞ্জের পদ্মপুকুরের বাসিন্দা ৩০ বছরের নির্যাতিতা ওই যুবতি ট‍্যাংরা থানায় নিজের মা, বাবা সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে বলা হয় ২০১৫ সাল থেকে বিয়ের আগে পর্যন্ত তাঁকে পরিবারের সদস্যরা অকথ‍্য অত‍্যাচার করেছে । বাবা-মা, বোন,বউদিসহ অন‍্যরা তাঁকে শহরের বিভিন্ন হোটেলে যেতে বাধ‍্য করেছে । সেখানে থাকত কাস্টমার । দীর্ঘদিন এই ভাবেই চলে । প্রতিবাদ করলেও কেউ শোনেনি । কেউ পাশে দাঁড়ায়নি । একটা সময় তাঁকে জোর করে পর্নোগ্রাফিক ফিল্মেও কাজ করতে বাধ্য করা হয় । গতবছর ওই যুবতির বিয়ে হয় দক্ষিণ কলকাতায় । তিনি স্বামীকে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন । স্বামী তাঁর পাশে দাঁড়ায় । অভিযোগ দায়ের করেন ট্যাংরা থানায় । এই অভিযোগ পেয়ে প্রথমে চমকে যায় ট্যাংরা থানার পুলিশ ।এই বিষয়টি তদন্তের দায় নেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং শাখা । ওই যুবতির মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয় । পাশাপাশি রেকর্ড করা হয় তাঁর বক্তব্য । যুবতির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বাবা-মাকে আজ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।