কলকাতা জেলা

রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারল না কমিশন, আসতে চলেছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

রাজ্য পুলিশের উপর উপনির্বাচনেও আস্থা রাখতে পারল না নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখেই হবে উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমন খবরই পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তিন বিধানসভা উপ-নির্বাচনের জন্য আসতে চলেছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতি কেন্দ্রে ৫ কম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। প্রথমবারের জন্য খড়গপুর দখল করতে চায় তৃণমূল। মাঠে নেমেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি লোকসভা ভোটের নিরিখে রাজ্যের শাসক দল পিছিয়ে রয়েছে কালিয়াগঞ্জে। সেটিও দখল করতে চায় তারা। আবার নদিয়ার করিমপুর কেন্দ্র নিয়েও চলছে তাল ঠোকাঠুকি। ভোটের পারদ চড়তে শুরু করেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিংবা তৃণমূল প্রার্থীদের মন্তব্যে। এই পরিস্থিতিতে কড়া হাতেই নির্বাচন পরিচালনা করতে চায় কমিশন। সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে ইতিমধ্যেই এসে গেছে নির্দেশ। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরকে বলা হয়েছে, কড়া হাতে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। সেই সূত্রে ইতিমধ্যে 6 জন পর্যবেক্ষক এসেছেন রাজ্যে। ২৫ নভেম্বর রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ওই দিন ভোট হবে খড়্গপুর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভায়। কালিয়াগঞ্জের প্রয়াত কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথ নাথ রায়ের অকাল মৃত্যুর কারণে এই আসনে উপনির্বাচন। অন্যদিকে, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এবং বিজেপির দিলীপ ঘোষ সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় করিমপুর এবং খড়গপুর আসন দুটি খালি হয়। সেই সূত্রেই এই তিন বিধানসভা উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই এই তিন কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল, বিজেপি এবং কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোট। কালিয়াগঞ্জ এমনিতেই কংগ্রেসের দখলে ছিল। খড়গপুর আসনটিও বরাবর কংগ্রেসের দখলে। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষ এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। এই আসনটি পুনরুদ্ধার এর বিষয়ে অনেকটা আশাবাদী কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোট। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিকে তাকিয়ে বিজেপি আবার এই আসনটি পেতে মরিয়া। সব মিলিয়ে তিন কেন্দ্রেই এবার টানটান নির্বাচন। শক্ত হাতে নির্বাচন পরিচালনা করতে কমিশনের তরফ থেকে এই তিন কেন্দ্রের জন্য পাঠানো হয়েছে 6 পর্যবেক্ষককে।সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের পুলিশ অবজারভাররা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি সরাসরি দেখবেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। তাদের সঙ্গে থাকবে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী এবং লাঠিধারী পুলিশ।