কলকাতাঃ আজ মহানবমী। কেমন থাকবে পুজোর শেষ দিনের আবহাওয়া তা নিয়ে গভীর চিন্তায় আমবাঙালি। কারণ, সপ্তমী ও অষ্টমী বেশি না হলেও বৃষ্টি উৎসবে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। তাহলে কি শেষ দিনও ছাতা নিয়েই ঘুরে বেড়াতে হবে এক মন্ডপ থেকে অন্য মন্ডপ। না কি দেখা মিলবে রোদের। এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত যা পূর্বাভাস তাতে অষ্টমীর চেয়ে কম হলেও নবমীতে বৃষ্টির একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যদিও তা খুব একটা বেশি নয়। তবে সপ্তমী ও অষ্টমীর মতই এই বৃষ্টি হবে দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই। সকাল ও রাতের দিকে সাধারণত আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনাই রয়েছে। যদিও এই পরিস্থিতি যে খুব একটা স্থায়ী তা নয়।কিন্তু উৎসবপ্রিয় বাঙালি আবহাওয়া দফতরের এই সতর্কবাণী শুনতে খুব একটা ইচ্ছুক নয়। সকলেরই বক্তব্য, এক বছরের অপেক্ষার পর মা’র চারদিনের জন্য আসা। তাই বৃষ্টি কোনও বাধাই হতে পারে না। বৃষ্টিতে ভিজে ঠাকুর দেখতে হলেও ‘কুছ পরোয়া নেহি’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ুও। যেহেতু বর্ষার সময়ের মধ্যে এ বছর পুজো পড়েছে, তাই বৃষ্টির একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তার উপরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় মাঝেমধ্যে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা প্রবল।হাওয়া অফিসের সতর্কবাণী, নবমীতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও দশমী ও একাদশীতে এই ঘূর্ণাবর্তের জন্য বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। ফলে উমার বিদায় হতে পারে বৃষ্টিস্নাত। কিন্তু তাতেও বাঁধ মানছে না বাঙালির আবেগ। বছরঅন্তে একবার প্রিয় মা’কে দেখার থেকে ঠেকিয়ে রাখতে পারছে না কোনও প্রতিকূলতা। তাই বলাই যায় প্রবল বা ছিটেফোঁটে বৃষ্টি কোনও কিছুই দমাতে পারবে না বাঙালিকে। হাতে ছাতা, রেনকোট নিয়েই কিংবা জবজবে ভিজেই আজ ফের উত্তর থেকে দক্ষিণের সব মন্ডপেই পৌঁছে যাবে আট থেকে আশি।