জেলা

শরিকি বিবাদের রেশ প্রতিবেশীদের উপর, ঢোলাহাটে সংঘর্ষে জখম ৭

ডায়মন্ড হারবার: জমি বিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার দক্ষিণ রায়পুর। জমি কার দখলে থাকবে তা নিয়ে রবিবার দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল মাঝ রাস্তায়। ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন সাতজন। জানা গিয়েছে, আহতরা বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষের জমির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ দাস পরিবারের দুই শরিকের মধ্যে। হরেকৃষ্ণ দাসের পরিবার ও রাজারাম দাসের পরিবারের মধ্যে জমির দখল নিয়ে আগেও বহুবার অশান্তি হয়। পুলিশ-প্রশাসন এমনকী আদালত পর্যন্ত গড়ায় সেই ঝামেলা। কিন্ত তাতেও বিন্দুমাত্র সমাধান হয়নি। বরং দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি আরও বেড়েছে। জটিল হয়েছে সমাধানের পথ। রবিবার সকালে ফের অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পরিবারের সদস্যরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বৈরাগী মোড় এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাও জড়িয়ে পড়েন সংঘর্ষের ওই ঘটনায়। দু’দলের এই সংঘর্ষে লাঠির ঘায়ে মোট সাতজন গুরুতর আহত হন। আহতদের স্থানীয়দের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন আহতরা।সংঘর্ষের খবর পেয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। হরেকৃষ্ণ দাসের অভিযোগ, ঢোলাহাটের চাষের জমি তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তি। রাজারাম দাস ও তাঁর পরিবার জোর করে সেই জমি দখল করে রেখেছে। তাই ওই জমি পুনর্দখল করতেই তাঁরা এসেছিলেন। তাঁদের লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে ঢোলাহাটের বাসিন্দা রাজারাম দাসের লোকজন। অন্যদিকে, রাজারাম দাসের অভিযোগ, মইপিঠ উপকূল থানা এলাকায় তাঁদের বাইশ শতক চাষের জমি রয়েছে। সেই জমি অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছেন হরেকৃষ্ণ দাস ও তাঁর পরিবার। তাই বদলা নিতে তাঁরাও ঢোলাহাটে হরেকৃষ্ণ দাসের জমির দখল নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, হরেকৃষ্ণ দাসের পরিবার এদিন মইপিঠ এলাকা থেকে ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে এসে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। রেহাই পায়নি বাড়ির মহিলারাও। এই ঘটনার জেরে এখনও থমথমে এলাকা। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ পিকেটও।